ইসলাম ডেস্ক : “বিবি খাদিজা আক্ষরিক অর্থেই তার বিকাশের পথে অদৃশ্য বাধার দেয়াল ভেঙে দিয়েছিলেন। তিনি ১৪০০ বছর আগে যা অর্জন করেছিলেন, তা আজকের দিনেও হতে পারে একজন নারীর আকাঙ্খার বিষয়।”
বলছিলেন আসাদ জামান, যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার শহরের একজন ইমাম। তিনি বলছিলেন বিবি খাদিজার কথা – যার জন্ম ষষ্ঠ শতাব্দীতে আজকের দিনের সৌদি আরবে। তিনি ছিলেন ধনী এবং ক্ষমতাশালী, একজন সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। সে যুগের অনেক নামী ও সম্ভ্রান্ত পুরুষ তাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন – তিনি তিনি সাড়া দেননি।
শেষ পর্যন্ত তিনি অবশ্য বিয়ে করেছিলেন, দু’বার। তার প্রথম স্বামী মারা গিয়েছিলেন, আর তার দ্বিতীয় স্বামীর সাথে তার বিচ্ছেদ হয়েছিল বলে ধারণা করা হয় । এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আর বিয়ে করবেন না… যতদিন পর্যন্ত না সেই মানুষটির সাথে তার পরিচয় হয়েছিল – যিনি হবেন তার তৃতীয় এবং শেষ স্বামী।
মি. জামান বিবিসিকে বলছিলেন, সেই মানুষটির মধ্যে বিবি খাদিজা এমন কিছু অসামান্য গুণাবলী দেখেছিলেন – যা বিয়ে সম্পর্কে তার মনোভাব বদলে দেয়। তাঁকে বেছে নেয়া এবং বিয়ের প্রস্তাব দেয়া -দুটিই করেছিলেন খাদিজা নিজেই। সে যুগে এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল না। খাদিজার বয়স তখন ৪০। আর তার ভবিষ্যৎ স্বামী ছিলেন ২৫ বছর বয়সের সাধারণ পরিবার থেকে আসা এক যুবক।
কিন্তু এটা কোন প্রেমের গল্প নয়, বরং তার চেয়ে অনেক বেশি কিছু। এটি হচ্ছে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মের সূচনার কাহিনি। খাদিজার সেই নতুন স্বামী আর কেউ নন, তিনি পরবর্তীকালের ইসলামের নবী মুহাম্মদ।