ইসলাম ডেস্ক : সাত আসমান পেরিয়ে মহান প্রভুর সান্নিধ্যে যাওয়া রাতের সফরই ‘মেরাজ’। কুরআনে যাকে ইসরা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মসজিদে হারাম থেকে যে সফরের শুরু হয়েছিল। বায়তুল মুকাদ্দাস হয়ে একে একে সাত আসমান ও সিদরাতুল মুনতাহা পেরিয়ে রফরফ নাম বিশেষ বাহনে আরশে আজিমে আল্লাহর প্রেমময় সান্নিধ্যে গিয়েছিলেন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। কুরআনুল কারিমে মহান আল্লাহ এ ঘটনার আলোকপাত করেন এভাবে-
سُبْحَانَ الَّذِي أَسْرَى بِعَبْدِهِ لَيْلاً مِّنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الأَقْصَى الَّذِي بَارَكْنَا حَوْلَهُ لِنُرِيَهُ مِنْ آيَاتِنَا إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ البَصِيرُ
পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে (মুহাম্মাদ সা.) রাতের বেলায় মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যান্ত ভ্রমণ করিয়েছিলেন। যার চার দিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি যাতে আমি তাঁকে কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই। নিশ্চয়ই তিনি পরম শ্রবণকারী ও দর্শনশীল।’ (সুরা বনি ইসরাঈল : আয়াত ১)
পবিত্র কুরআনুল কারিমে ঘোষিত এ মেরাজই লাইলাতুল মেরাজ বা শবে মেরাজ। লাইলাতুন বা শব অর্থ হলো- রাত আর মেরাজ অর্থ উর্ধ্বগমন। শবে মেরাজ বা লাইলাতুল মেরাজের অর্থ দাঁড়ায়- ঊর্ধ্বগমনের রাত।
হজরত মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ তাআলার বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সশরীরে জাগ্রত অবস্থায় হজরত জিবরিল ও মিকাইল আহিমুস সালামের সঙ্গে প্রথমে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসায় যান। সেখান থেকে তিনি আল্লাহর সান্নিধ্যে উর্ধ্ব জগতের রওয়ানা হন।
আমাদের প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আরশে আজিমের এ সফরের দেখেছেন অনেক নিদর্শন। দেখেছেন জান্নাতের নেয়ামত ও জাহান্নামের শাস্তি। উপহার স্বরূপ পেয়েছেন নামাজ।
হজরত মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ৫১ বছর বয়সে আরশে আজিমের এ যাত্রা শুরু হয়েছিল নবুয়তের ১১তম বছরের ২৬ রজব দিবাগত রাত তথা ২৭ রজবে। এটি ছিল প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অন্যতম মোজেজার একটি।