ইসলাম ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে চলমান মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সৌদি আরবেও অর্থনৈতিকভাবে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন লাখ লাখ প্রবাসী। অনেকে আবার শূন্য হাতে দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন। তাদের কথা বিবেচনায় বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ছয় মাসের জন্য হজ ও উমরাহ খাতে কর্মরত প্রবাসীদের প্রণোদনার অনুমোদন দিয়েছেন।
সৌদি আরবের বার্তা সংস্থা এসপিএ এ তথ্য জানায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই পবিত্র স্থানে হজ ও উমরাহ খাতে কর্মরত বাংলাদেশিসহ সকল প্রবাসীদের কথা বিবেচনা করে মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীর তত্ত্বাবধায়ক বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আগামী ছয় মাসের জন্য হজ ও উমরাহ খাতে কর্মরত প্রবাসীদের প্রণোদনার অনুমোদন দিয়েছেন।
সৌদি আরব সরকারের সিদ্ধান্ত মতে বিভিন্ন প্রাইভেট খাত এবং হজ ও উমরাহ বিভাগে কিছু আর্থিক প্রণোদনার মাধ্যমে উক্ত খাতগুলোতে কিছুটা হলেও প্রাণের সঞ্চার করার।
সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ঘোষিত প্রণোদনা গুলোতে রয়েছে : * মক্কা ও মদিনা শহরে এক বছরের জন্য পৌর বাণিজ্যিক কার্যকলাপ লাইসেন্সের জন্য বার্ষিক ফি অব্যাহতি। * ছয় মাসের জন্য এই খাতে কর্মরত প্রবাসীদের ফি অব্যাহতি প্রদান। * মক্কা ও মদীনায় থাকার সুবিধার জন্য এক বছরের জন্য পর্যটন মন্ত্রণালয়ের লাইসেন্স ফি নবায়ন, যা বর্ধিত করাও হতে পারে। * এই খাতে কর্মরত প্রবাসীদের জন্য আকামা নবায়নের জন্য ফি সংগ্রহ স্থগিত করা, তবে এখানে শর্ত হল: এক বছরের মধ্যে কিস্তিতে ওই ফি পরিশোধ করতে হবে। * এক বছরের জন্য হাজিদের পরিবহনের জন্য যে সকল প্রতিষ্ঠান বাস সরবরাহ করে তাদের লাইসেন্সের মেয়াদ (ইস্তিমারা) বৃদ্ধি। * আসন্ন ২০২১ সালের হজ মৌসুমের জন্য নতুন বাসের জন্য শুল্ক আদায় তিন মাসের জন্য স্থগিত করা এবং নির্ধারিত তারিখ থেকে শুরু করে চার মাসের মেয়াদে কিস্তিতে পরিশোধ করার সুযোগ প্রদান।
এই উদ্যোগগুলো হজ ও উমরাহ খাতে করোনাভাইরাস মহামারির অর্থনৈতিক প্রভাব কমাতে সৌদি সরকারের একটি অসাধারণ উদ্যোগ হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে।