সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৩:৫৪:৩২

নামাজ সংক্রান্ত অসাধারণ একটি শিক্ষণীয় ঘটনা

ইসলাম ডেস্ক: বাবার একমাত্র পুন্যবতী মেয়েটির (ফাতেমা) আজ বিয়ে: বয়স ঠিক যখন ২১ হয়ে গেল তারপরই তার বাবা-মা ছেলে দেখা শুরু করলেন। কিছু দিনের মধ্যে এক ছেলেও মিলে গেল। ছেলে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার, বিরাট অংকের বেতনে একটি কোম্পানিতে চাকরি করে। বাবা-মা রাজি হলেও ফাতেমার দ্বীমত থাকায় ওই ছেলের সাথে বিয়ে হয়নি। শেষমেষ বাবা-মা একজন কুরআনে হাফেজকে বিয়ের জন্য তাদের ফাতেমার সম্মতি জানতে চাইলেন। ফাতেমা খুব খুশি মনে রাজি হয়ে গেল। বিয়ের দিন ঘনিয়ে আসছে। অনেক কিছু কেনাকাটা করতে হবে। যাই হোক বিয়ের আগের রাতেই সব কেনাকাটা সম্পন্ন করা হলো। বিয়ের দিন সকাল ১১টা। বাড়ি ভর্তি মেহমান।


মেয়েটির বোন ও বান্ধবী সবাই হাজির তার ঘরে তাকে বিয়ের সাজে সাজাতে। বিয়ের সাজ বলে কথা একটু বেশি ভালোভাবেই তো সাজাতে হবে প্রায় দুই ঘন্টা ধরে ফাতেমাকে সাজানো হলে বধুর সাজে। ফাতেমার কানে আসল জোহরের আজানের সুর, এখন তো জোহরের ওয়াক্ত। জোহরের নামাজ পড়া দরকার। ফাতেমা তার সব ধরনের সাজন খুলতে শুরু করলো। ঘরের মধ্যে আর যারা ছিল তারা সবাই ফাতেমার দিকে হা করে তাকিয়ে ছিল। এটা কি করছে ও? তার তো আজ বিয়ে, বিয়ের সাজ সব তো নষ্ট করে দিলে? কেউ ফাতেমাকে থামাও . এখনি জামাই আসবে। বরযাত্রীর লোকজন তাকে এইভাবে দেখলে সবাই কি বলবে?

ঘরের মধ্যে সবাই এই ধরনের বিভিন্ন কথা বলাবলি করতে শুরু করলো। ফাতেমাও সাফ সবাইকে জানিয়ে দিলো “এখন জোহরের সময় হয়েছে, আমাকে যথা সময় নামাজ আদায় করতেই হবে। আল্লাহর হুকুম অমান্য করার ক্ষমতা আমার নেই। প্রয়োজনে আবার সাজবো কিন্তু এখন আমাকে নামাজ আদায় করতেই হবে।” জোহরের ফরজ নামাজ এর শেষ রাকাত। ফাতেমা সিজদায় গিয়ে আর উঠে আসে না। প্রায় ৫ মিনিট হয়ে গেল কিন্তু ফাতেমা তো আর উঠে না সেজদাহ থেকে। তখন কয়েকজন তাকে ডাক দিলো কিন্তু কোনো সারা শব্দ নেই। ধাক্কা দিতেই ফাতেমা মাঠিতে লুটিয়ে পড়ল। হা, ফাতেমা মারা গেছে। সেজদার মধ্যেই সে আল্লাহর ডাকে সারা দিয়ে দুনিয়ার মায়া ছেড়ে পরপারে চলে গেছে। সেজদার মধ্যে মৃত্যু। এটাই তো সর্বোত্তম মৃত্যু। জান্নাতী হওয়ার প্রথম ধাপ।

শিক্ষা: বর্তমানে আমাদের দেশে দেখা যায় বিয়ের দিন বাসার অনেকেই নামাজ পড়েন না। অনেকেই বলেন বিয়ে বাড়ি বলে কথা তাই অনেক কাজ নামাজের সময় নাই। আর হা, বর আর কনের যেন বিয়ের দিন নামাজ একদম মাফ। বর-কনেকে বিয়ের দিন নামাজে দেখাই যায় না। কখন কোথায় আমাদের মৃত্যু এসে হাজির হবে তা আমরা কেউ জানি না তাই যেখানেই থাকি সময়মত নামাজ আদায় করতেই হবে।-আমােদর সময়.কম
২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে