অর্থাৎ “মূর্খরা অচিরেই এইরূপ বলিবে যে, কিসের জন্য তাহাদের পূর্ববর্তী কেবলার পরিবর্তন হইল। আপনি বলুন, পূর্ব ও পশ্চিম উভয়টাই মহান আল্লাহর। (সূরা বাক্বারা ১৪২ আয়াত ২য় পারা)
সর্বদিকের মালিকই আল্লাহ এবং তিনি সর্বত্রই বিদ্যমান। তিনি যেই দিকে বান্দাকে নির্দেশিত করিবেন, বান্দার দায়িত্ব তাহা যথাযথ পালন করা। তাহা ছাড়া ঘর অর্থাৎ বাইতুল মোকাদ্দাস ও বায়তুল্লাহ উভয়টাই আল্লাহর। রাসূলে আরাবী (সাঃ) ছিলেন ইসমাইল (আঃ) এর বংশধর। ইব্রাহীম (আঃ)-এর তৈরী আল্লাহর ঘর বায়তুল্লাহ। উক্ত ঘরের আবাদ করিবার নিমিত্তে রাসূল (সাঃ)-এর আগমন এবং ইহাই হইবে বিশ্ব মুসলিমের কেবলা। মদীনার বহু সংখ্যক পূর্ববর্তী ধর্মাবলম্বীদের দীর্ঘদিনের কেবলা বায়তুল মোকাদ্দাস হঠাৎ করিয়া তাহার পরিবর্তন ইসলামের প্রথম পর্যায়ে ঠিক হইবে না বিধায় তাহাদের খাতিরে কিছুদিন উক্ত কেবলার প্রতি মূখ করিয়া নামাজ আদায় করিবার নির্দেশ ছিল। এই সময় যাহাদের নসীবে ইসলাম ছিল তাহারা ইসলাম গ্রহণ করিয়াছিলেন। সুতরাং এখন আর অপেক্ষা করিবার প্রয়োজন নাই।
তাহাছাড়া রাসূল (সাঃ) নিজেও সেই নির্দেশের প্রতীক্ষায় ছিলেন যে কোন মূহুর্তে তাঁহাকে কেবলা পরিবর্তনের নির্দেশ করা হইবে। এমনি করে মূহুর্তে নিম্নরূপ নির্দেশ আসিল।
অর্থাৎ হে, রাসূল! আপনি মুখমন্ডল পবিত্র কাবার দিকে ফিরাইয়া নিন। (সূরা বাক্বারা ১৪০ আয়াত ২য় পারা)
২১ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/কামাল/ইস