সুতরাং বোঝা গেল, সুন্দর ও ইসলামী চরিত্রে চরিত্রবান হওয়ার স্বাভাবিক প্রেরণা প্রতিটি শিশুর মধ্যে থাকে। শিশুর বাবা-মা যদি সুশিক্ষা ও সুপরিচর্যার মাধ্যমে তাকে গড়ে তুলতে পারেন, তবে তার মধ্যে অনুপম চরিত্রের বিকাশ ঘটে। সে হয় একজন খোদাভীরু ও নেককার সন্তান। একজন আলোকিত মানুষ।
সন্তান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে এক বিশাল নেয়ামত। আল্লাহ তায়ালা এ নেয়ামত সবাইকে দান করেন না। আল্লাহ তায়ালা কুরআন কারিমে ইরশাদ করেন, ‘আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর আধিপাত্য আল্লাহ তায়ালার। তিনি যা ইচ্ছা তাই সৃষ্টি করেন। তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যাসন্তান দান করেন, অথবা দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা তাকে বন্ধ্যা। তিনি সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান’ (সূরা শুরা : ৪৯-৫০)।
ইসলামে শিশুর উপযুক্ত পরিচর্যার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিটি বাবা-মায়ের ওপর তাদের সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে নেককার সন্তান হিসেবে গড়ে তোলা প্রধান দায়িত্ব। কোরআনের আলোয় শিক্ষিত করে তাদের মাঝে নৈতিকতাবোধ জাগিয়ে তোলা এবং ইসলামী অনুশাসন মেনে চলতে বাধ্য করা বাবা-মায়ের অবশ্য কর্তব্য।
আমাদের সন্তানেরা দেশ-বিদেশের বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চশিক্ষায় ডিগ্রি অর্জন করে; কিন্তু কুরআন শরিফের বিশুদ্ধ তেলাওয়াতটা তারা জানে না। নামাজ-রোজার সঠিক পদ্ধতিটা তারা জানে না। অনেক পরিবারে তো ধর্মীয় শিক্ষার ব্যাপারে রীতিমতো বিরূপ ধারণা দেয়া হয় এবং সন্তানকে ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি বীতশ্রদ্ধ করে তোলা হয়। যার ফলে আমাদের সন্তানেরা নৈতিক শিক্ষা থেকে সব সময়ই বঞ্চিত থাকে। বড় হয়ে তারা অনৈতিক কাজকর্মে জড়িয়ে পড়ে। তাই বলা যায় শিশুর প্রথম পাঠশালা হলো তার পরিবার। বাবা-মা হলেন তার প্রথম শিক্ষক। আর এখানেই তাকে কোরআন শিক্ষায় শিক্ষিত করে আদর্শবাদ মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা প্রতিটি বাবা মায়ের দায়িত্ব।
২১ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/আরএ/আরএম