মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা সেতু হাইওয়ে এক্সপ্রেসের পাশেই নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। শিবচরে পদ্মা সেতু হাইওয়ে এক্সপ্রেসের পাশেই দেখা যাবে দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি।
ব্যক্তি উদ্যোগে তাজমহলের আদলে নির্মিত মসজিদটি দেখতে প্রতিদিন ভিড় করেন শত শত দর্শনার্থী। রাজধানীতে যাতায়াতকারীরাও গাড়ি থামিয়ে আদায় করেন নামাজ। কর্তৃপক্ষের দাবি, এটি দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে ব্যয়বহুল, আকর্ষণীয় ও সর্বাধুনিক মসজিদ।
ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক। ব্যস্ত এই মহাসড়কটি পদ্মা সেতু হাইওয়ে এক্সপ্রেসের জন্য সিক্স লেনে রূ'পা'ন্তর করা হয়েছে। পাশেই মাদারীপুরের শিবচরের সূর্যনগরে নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন অত্যাধুনিক মসজিদ। তাজমহলের আদলে নির্মিত মসজিদটির নাম দেওয়া হয়েছে ইলিয়াছ আহম্মেদ চৌধুরী কলেজ মসজিদ।
মসজিদটির ভেতরে ৮০০ ও বাইরে আড়াই হাজার মুসল্লি একত্রে নামাজ আদায় করতে পারেন। ৭৫ ফুট উচ্চতার মসজিদটির ভেতরে ব্যবহার করা হয়েছে ৮টি পাখাযুক্ত মাত্র ৪টি বৈদ্যুতিক পাখা। চীন থেকে আনা ফ্যানগুলো দেখতে হুবহু বিমানের প্রপেলারের মতো।
মাদারীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নুর-আলম চৌধুরীর উদ্যোগ ও অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়েছে মসজিদটি।৫০ ফুট উচ্চতার ৪টি গম্বুজ ও ৯৬ ফুট উচ্চতার ২টি মিনার রয়েছে এতে। নামাজ পড়ার পাশাপাশি সৌন্দর্য উপভোগে প্রতিদিনই আসেন শত শত দর্শনার্থী।
মসজিদের রাতের দৃশ্য আরও মনোরম। ঝলমলে আলো ন'জ'র কা'ড়ে সবার। আমেরিকার লিগম্যান কোম্পানি থেকে আনা বিভিন্ন আকৃতির ৯৪টি লাইট রয়েছে এখানে। আর তুরস্ক থেকে আনা হয়েছে ঝাড়বাতি।
মসজিদ নির্মাণকাজ ত'দারককারী পিটার খান জানান, মসজিদটির নকশা করেছেন স্থপতি কাজী মোহাম্মদ হানিফ। এটি নির্মাণ করতে প্রতিদিন ৪০ জন শ্রমিকের সময় লেগেছে একটানা তিন বছর।কর্তৃপক্ষের দাবি, দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে ব্যয়বহুল দৃষ্টিনন্দন আধুনিক মসজিদ এটি জানান মোয়াজ্জেম তানভীর আহম্মেদ ও ইমাম মোহাম্মদ নেয়ামত-উল্লাহ, ইমাম।
৪ বিঘা জমির ওপর ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া মসজিদের নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০২০ সালের ডিসেম্বর। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মুসল্লিদের জন্য খুলে দেয়া হয় মসজিদটি।