রবিবার, ১০ জানুয়ারী, ২০১৬, ১০:০১:৫০

সেই অন্ধ হাফেজ মসজিদের ইমাম জাহাঙ্গীর বাঁচার লড়াইয়ে এখন মানুষের দ্বারে দ্বারে

সেই অন্ধ হাফেজ মসজিদের ইমাম জাহাঙ্গীর বাঁচার লড়াইয়ে এখন মানুষের দ্বারে দ্বারে

ইসলাম ডেস্ক : ৬ বছর বয়সে অন্ধত্ব বরন করেন জাহাঙ্গীর। হঠাৎ দু'চোখের আলো চলে যায়। এ জন্য অনেক চিকিৎসকের কাছেই গেছেন। অনেক চিকিৎসককেই দেখিয়েছেন। এভাবে বাবা-মা অনেক চেষ্টা করেও তার অন্ধত্ব গুছাতে পারেননি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, জাহাঙ্গীরের চোখের যে সব রগ দিয়ে আলো আসার কথা সেসব রগ শুকিয়ে গেছে। তাই তিনি আর চোখের আলো ফিরে পাবেন না। অন্ধত্বকে মেনে নিয়েই তাকে জীবন কাটাতে হবে।

কিন্তু অন্ধত্ব পুরোপুরি দমাতে পারেনি তাকে । ভর্তি হন হাফেজী পড়ায়। হাফেজী পাশ করার পর তারবীহ নামাজ পড়িয়ে আর হেফজ শিক্ষা দিয়ে জীবনে বেঁচে থাকার একটা পথ বের করে নেন তিনি।

নবীনগরের লাউর-ফতেহপুর হাফিজীয়া মাদ্রসা থেকে হাফেজী পাশ করার পর এ গ্রামের মসজিদেই ইমামতি করতে শুরু করেন জাহাঙ্গীর। কিন্তু ২০০৭ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে পুরোপুরি অসহায় হয়ে পড়েন তিনি। নিজের চিকিৎসা চালানোর পাশাপাশি পরিবারের ভরনপোষণ কিভাবে করবেন সেই চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েন।

নিজের চিকিৎসা ব্যয় আর পরিবার-পরিজনের অন্ন সংস্থানে দিশেহারা অন্ধ হাফেজ মো: জাহাঙ্গীর আলম। মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ফিরছেন তিনি। হৃদরোগ ছাড়াও এখন তার শরীরে বাসা বেধেছে আরো নানা রোগ। যার চিকিৎসায় দরকার অনেক অর্থের। তার বাবা আবদুল জলিলও হত-দরিদ্র। ছেলের চিকিৎসায় হাত বাড়িয়ে দেয়ার মতো সামান্য সামর্থ্যও নেই এই বৃদ্ধের।

মানুষের সাহায্য-সহযোগিতাতেই এখন দিন পার করছেন জাহাঙ্গীর।একজন অন্ধ হাফেজের চিকিৎসা সহায়তায় সমাজের বিত্তশালী ও হৃদয়বান মানুষ হাত বাড়িয়ে দেবেন এই আশা করছেন জাহাঙ্গীর আর তার বৃদ্ধ বাবা-মা।

জাহাঙ্গীরের বাড়ি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে।সংসারে বৃদ্ধা বাবা-মা ছাড়াও রয়েছে স্ত্রী ও তিন পুত্র সন্তান।
১০ জানুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসএম/ডিআরএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে