ইসলাম ডেস্ক: অনেক মুসলমান ভাইকেই মদপান ও জুয়া খেলতে দেখা যায়। কিন্তু ইসলামে এগুলোকে হারাম করা হয়েছে। যারা মদপান এবং জুয়া খেলে থাকেন এই লোকগুলো অবশ্য নিজেদের আবার মুসলমানও দাবি করে থাকেন। কিন্তু এগুলো যে মুসলমানদের জন্য হারাম করা হলো তা আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ পাক মূলত দুটি কারণে মদ ও জুয়াকে হারাম করেছেন। কারণ দুটি হলো-
১। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মদিনায় হিযরত করার পর কয়েকজন সাহাবি মদপানের অকল্যাণগুলো অনুভব করে রাসুল (সা.) -এর দরবারে উপস্থিত হয়ে বললেন, ‘মদ ও জুয়া মানুষের বুদ্ধি-বিবেচনাকে পর্যন্ত বিলুপ্ত করে ফেলে এবং ধনসম্পদও ধ্বংস করে দেয়। এ সম্পর্কে আপনার নির্দেশ কি?’ এ প্রশ্নের উত্তরে সুরা বাকারার একটি আয়াত অবতীর্ণ হয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তারা তোমাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দাও, এতদুভয়ের মধ্যে রয়েছে মহাপাপ। আর মানুষের জন্য উপকারিতাও রয়েছে, তবে এগুলোর পাপ উপকারিতা অপেক্ষা অনেক বড়।’ [সুরা বাকারা : আয়াত ২১৯]
অন্যদিকে, আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআনের সূরা মায়িদায় ঘোষণা করেছেন, ‘হে ঈমানদারগণ! নিশ্চিত জেনো, মদ, জুয়া, মূর্তি এবং তীর নিক্ষেপ এসবগুলোই নিকৃষ্ট শয়তানি কাজ। কাজেই এসব থেকে সম্পূর্ণভাবে সরে থাক, যাতে তোমরা মুক্তিলাভ ও কল্যাণ পেতে পার। মদ ও জুয়ার দ্বারা তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক শত্রুতা ও তিক্ততা সৃষ্টি হয়ে থাকে; আর আল্লাহর জিকির ও নামাজ থেকে তোমাদেরকে বিরত রাখাই হলো শয়তানের একান্ত কাম্য, তবুও কি তোমরা তা থেকে বিরত থাকবে না?’ [সুরা মায়িদা : ৯০-৯১]
তাই বলা যায় আল্লাহ পাক মদকে হারাম করেছেন মস্তিষ্ক নষ্ট করে দেয়ার জন্য এবং জুয়াকে হারাম করেছেন সবকিছু ধ্বংস করে দেয়ার জন্য।
১০ জানুয়ারি ২০১৬/এমটি নিউজ ২৪ ডটকম/জুবায়ের/রাসেল