বান্দার প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ কেমন? এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন আল্লাহ নিজেই। আল্লাহ সম্পর্কে বান্দার ধারণা সম্পর্কিত বিষয়গুলো হাদিসে কুদসিতে সুস্পষ্টভাবে ওঠে এসেছে। আল্লাহ নিজের সম্পর্কে হাদিসে কুদসিতে কী বলেছেন?
আল্লাহ হলেন ‘রহমান; রাহিম’। তিনি দয়াশীল; তুলনাহীন দয়ার অধিকারী। তার দয়ার কোনো তুলনা চলে না। কোনো জিনিস চাওয়ার আগে যিনি মানুষকে প্রয়োজনীয় জিনিস দেন, ‘তিনি আল্লাহ’। আল্লাহ তাআলা বান্দার ধারণা এবং কল্পনার চেয়েও আপন ও কাছাকাছি।
হাদিসে কুদসিতে মহান আল্লাহ বিষয়গুলো এভাবে তুলে ধরেছেন-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন- ‘আমার বান্দা আমার সম্পর্কে যেমন ধারণা করে, আমি তেমনই; যখন সে আমাকে স্মরণ করে, তখন আমি তার সঙ্গে থাকি’।
‘সে যদি আমাকে মনে মনে স্মরণ করে, আমিও তাকে মনে মনে স্মরণ করি; সে যদি আমাকে কোনো জমায়েতে স্মরণ করে, আমি তাকে তার চেয়ে উত্তম জমায়েতে স্মরণ করি; সে যদি আমার দিকে এক বিঘত পরিমাণ এগিয়ে আসে, আমি তার দিকে এক হাত পরিমাণ এগিয়ে যাই; সে যদি আমার দিকে এক হাত এগিয়ে আসে, আমি তার দিকে প্রসারিত বাহু পরিমাণ এগিয়ে যাই; আর সে যদি আমার দিকে হেঁটে আসে, আমি তারদিকে দ্রুত এগিয়ে যাই।’ (বুখারি)
আল্লাহ কত মহান! বান্দা আল্লাহকে যেভাবে স্মরণ করেন আল্লাহ তাআলা তার জন্য তেমনই। বান্দার জন্য এরচেয়ে বড় সৌভাগ্য আর কি হতে পারে?
আল্লাহ তাআলা বান্দার মনে খবরও জানেন। বান্দা যা প্রকাশ করে আর গোপন করে সবই আল্লাহ জানেন। কিন্তু মহান আল্লাহর অন্তরে কি আছে তা বান্দার জানার কোনো উপায় নেই। কত সুন্দর করেই না হজরত ঈসা আলাইহিস সালাম আল্লাহকে বলেছিলেন। যা আল্লাহ তাআলা কোরআনে তুলে ধরেছেন-
تَعْلَمُ مَا فِي نَفْسِي وَلاَ أَعْلَمُ مَا فِي نَفْسِكَ
‘আমার অন্তরের কথা আপনি জানেন, কিন্তু আপনার অন্তরের কথা আমি জানি না।’ (সুরা মায়েদা : আয়াত ১১৬)
সুতরাং মানুষের উচিত, জীবনের প্রতিটি দিক ও কাজে ভালো এবং ইতিবাচক মানসিকতা পোষণ করা। বেশি বেশি কল্যাণের কাজ করা। যেভাবে আল্লাহ বলেছেন-
وَ یُحَذِّرُکُمُ اللّٰهُ نَفۡسَهٗ ؕ وَ اِلَی اللّٰهِ الۡمَصِیۡرُ
‘আর আল্লাহ তোমাদেরকে তাঁর নিজের ব্যাপারে সতর্ক করছেন। আর আল্লাহর কাছেই ফিরে যেতে হবে।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ২৮)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন। জাগো নিউজ