মুসলিম উম্মাহর প্রধান ধর্মীয় স্থান মক্কার পবিত্র গ্র্যান্ড মসজিদে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিউল আউয়াল মাসে আজই ছিল সর্বশেষ জুমার নামাজ। করোনা সংক্রমণ রোধে অন্যান্য নামাজের মতো স্বাস্থ্য সুরক্ষামূলক নির্দেশনা অনুসরণ করে তা অনুষ্ঠিত হয়।
মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদে জুমা নামাজে ইমামতি করেন মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়খ ড. ফয়সাল গাজাবি। নামাজের আগের খুতবায় তিনি মৌলিক নৈতিকাবোধ ধারণে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেন। এছাড়াও করোনা মহামারি থেকে বিশ্ববাসীর মুক্তি চেয়ে দোয়া করেন। আর মসজিদে নববিতে নামাজ পড়ান শায়খ ড. আলি আল হুজাইফি। তিনি মুসলিম উম্মাহকে ঐকবদ্ধ হয়ে আল্লাহর নির্দেশনা অনুসারে কাজ করার আহ্বান জানান।
গত ১৭ অক্টোবর করোনা বিষয়ক বিধি-নিষেধ ও সতর্কতামূলক স্বাস্থ্যবিধি শিথিল করেছে সৌদি আরব। এ সময় মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদে পূর্ণ ধারণক্ষমতায় মুসল্লিদের উপস্থিত হওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে পবিত্র দুই মসজিদে নামাজ আদায়, ওমরাহ পালন ও রওজা শরিফ জিয়ারতের জন্য মুসল্লিদের অবশ্যই করোনা টিকার ডোজ সম্পন্ন করতে হবে। পাশাপাশি সবাইকে নির্ধারিত অ্যাপের মাধ্যমে অনুমোদন নিতে হবে।
পবিত্র মসজিদুল হারামে প্রদত্ত খুতবা বিশ্বের পাঁচটি ভাষায় শোনা যায়। প্রতি সপ্তায় যিনি জুমার পড়াবেন তার খুতবার সরাসরি অনুবাদ শোনা যাবে। যেসব ভাষায় জুমার খুতবা শোনা যায় তা হলো : ইংরেজি, ফরাসি, উর্দু, ফার্সি ও মালাই। লিংকে প্রবেশ করে পাঁচ ভাষার যেকোনো একটিতে ক্লিক করলে খুতবার অনুবাদ শোনা যাবে।
এদিকে শ্রবণপ্রতিবন্ধীদের জন্য জুমার খুতবা ইশারা ভাষায় অনুবাদের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া পবিত্র হজের সময় আরাফা প্রাঙ্গণে প্রদত্ত খুতবার অনুবাদ ইংরেজি, মালাই, উর্দু, ফার্সি, ফ্রেঞ্চ, চাইনিজ, তার্কিশ, রুশ, হাউসা, বাংলাসহ মোট ১০টি ভাষায় অনূদিত হয়। এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হজ ও ওমরাযাত্রীদের সার্বক্ষণিক তাদের নিজস্ব ভাষায় সেবা দেওয়া হয়। সূত্র : হারামাইন শরিফাইন