সাধারণথ যে বয়সে সবাই খেলনা সামগ্রি ও খেলাধুলায় ব্যস্ত সময় পার করে থাকে সেই সময় নাইজেরিয়ার এক শিশু কোরআন চর্চা করে সময় কাটাচ্ছে। সবার সামনে পবিত্র কোরআন অনুবাদ ও ব্যাখ্যা করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সে। মাত্র ৮ বছর বয়সী এ শিশুর প্রতিভা ও পাণ্ডিত্ব দেখে অবাক সবাই।
বিবিসির এক ভিডিও প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নাইজেরিয়ার কাদুনা রাজ্যের জারিয়া শহরের শিশু মুহাম্মদ শামসুদ্দিন। তিনি আফ্রিকার সবচেয়ে কম বয়সী কোরআন অনুবাদ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
মাত্র ৮ বছর বয়সেই তিনি পবিত্র কোরআন অনুবাদ চর্চা ও প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। রমজান মাসে মসজিদে আসা মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে কোরআন পাঠদান করে থাকেন। সাধারণত নাইজেরিয়ায় ৪০ বছর হওয়ার পর কোরআন শিক্ষা প্রচারের কার্যক্রম করা যায়। তবে তার ক্ষেত্রে এ ধারার ব্যতিক্রম ঘটে।
মুহাম্মদ বলেন, ‘আমার স্কুলে যাওয়ার বয়স হলে আমার বাবা স্কুলের একজন স্কলারের সঙ্গে আমাকে যুক্ত করেন। তিনি আমাকে পড়াশোনার দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন। এরপর পাশপাশি আমি নিজ ঘরে পড়াশোনা ও গবেষণা করতে থাকি।’
মুহাম্মদ কোরআন পাঠদান ছাড়াও তিনি শুক্রবার সন্ধ্যায় মুসল্লিদের জন্য পাঠ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, ‘আমার মুসলিম সহযোগীরা আমরা কখন কোথায় সমবেত হব সে বিষয়ে নানাভাবে সহযোগিতা করেন। ’
অনুসারীদের কাছে তার অবস্থান তৈরির পেছনে বাবাই তার প্রেরণার মূল উৎস বলে জানিয়েছেন শিশু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, ‘শিশুর পড়াশোনার ব্যাপারে তার বাবা আত্মনিবেদিত ও উদার হলে এবং শিশু নিজেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলে সে অবশ্যই সফল হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি ইসলামের মৌলিক পাঁচটি বই থেকে পড়াশোনা শুরু করি। এছাড়াও হাদিস বিষয়ে আমি শিক্ষকদের কাছে পড়াশোনা করি। ইসলামী ফিকাহ, ধর্মতত্ত্ব ও ইতিহাস বিষয়ে পড়ি।’
খেলাধুলা বা খেলনা সামগ্রির প্রতি আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছেন মুহাম্মদ। এমনকি অনেক সময় মধ্যরাত পর্যন্ত গবেষণা করেন তিনি। ওই সময় তার বাবা বাতি বন্ধ করে তাকে ঘুমাতে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু এ দীর্ঘ পরিশ্রমের পরও মুহাম্মদ ক্লান্তিবোধ করেন না।
কোরআন প্রচারের পাশাপাশি আরো লক্ষ্যও আছে বলে জানিয়েছেন মুহাম্মদ। তিনি বলেন, ‘আমি ভবিষ্যতে চিকিৎসক ও আইনবিদ হতে চাই। এ কাজের জন্য আমি কোরআন চর্চা বাদ দেব না। বরং উভয়ের মধ্যে সমন্বয় করব। সূত্র : বিবিসি