ইসলাম ডেস্ক : পবিত্র কোরআনে নামাজে মনোযোগী হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা সালাতের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী সালাতের প্রতি এবং আল্লাহর সামনে বিনীতভাবে দাঁড়াও। ’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৩৮)
অন্য আয়াতে বিনয়ী ও মনোযোগী মুসল্লিকে সফল আখ্যায়িত করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘অবশ্যই সফলকাম হয়েছে মুমিনরা, যারা নিজেদের নামাজে বিনয়-নম্র। ’ (সুরা মুমিনুন, আয়াত : ১-২)
নামাজে একাগ্রতা হারানোর অনেক কারণ আছে। ইমাম গাজালি (রহ.) নামাজে মনোযোগ ও একাগ্রতা হারানোর দুই ধরনের কারণ উল্লেখ করেছেন। বাহ্যিক কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন—শব্দদূষণ ও শোরগোল। অন্যদিকে মানসিক কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন—বিক্ষিপ্ত চিন্তা-ভাবনা, দুশ্চিন্তা, মানসিক অস্থিরতা ও উত্তেজনা।
নামাজের প্রাণ হলো খুশু তথা অন্তরের বিনয় ও নম্রতা। নামাজে মনোযোগ ও একাগ্রতা বৃদ্ধি করার বিভিন্ন উপায় ও পদ্ধতির কথা উলামায়ে কেরাম উল্লেখ করেছেন। যেমন—কোরআনের অর্থের দিকে মনোনিবেশ করা। মনে সব সময় এই ধারণা রাখার চেষ্টা করা যে আমি আল্লাহর সামনে দাঁড়ানো, আল্লাহ তাআলা আমাকে দেখছেন। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত করো, যেন তাঁকে তুমি দেখতে পাচ্ছ। আর যদি দেখতে না পাও, তবে (ভাবো) তিনি তোমাকে দেখতে পাচ্ছেন। ’ (বুখারি, হাদিস : ৫০; মুসলিম, হাদিস : ৮)
এসব পদ্ধতির পাশাপাশি, নামাজে একাগ্রতা বাড়ানোর জন্য মনোবিজ্ঞানীদের বাতলে দেওয়া কিছু পদ্ধতিও অবলম্বন করা যেতে পারে। তাঁদের মতে, ইবাদত এমন এক মেডিটেশন, যা আমাদের মস্তিষ্ককে আরো গভীরে নিয়ে আলফা ব্রেইন ওয়েভের সঙ্গে সংযুক্ত করে। আমাদের একাগ্রতাকে আরো নিবিড় ও প্রখর করে তোলে; সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করে এবং মানসিক প্রশান্তি আনে।-অ্যাবাউট ইসলাম ডটকম অবলম্বনে