ইসলাম ডেস্ক : বর্তমানে মানুষের কর্মব্যস্ততা অনেক বেশি। পরিবার,আত্মীয়-স্বজন তো দূরে থাক নিজেকে সময় দেওয়া, নিজের য্ত্ন নেওয়ারও ফুরসত মেলে না। এর মাঝেও কাজে-কর্মে প্রতিনিয়ত আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করেন একজন মুমিন। কারণ, আল্লাহর সন্তুষ্টি ছাড়া দুনিয়া-আখেরাতে মুক্তি লাভের কোনও উপায় নেই। আল্লাহর সন্তুষ্টিপ্রাপ্তরাই সব জায়গাই সফল।
পবিত্র কোরআনেও বর্ণিত হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই সফলতা অর্জন করেছে মুমিনরা; যারা তাদের নামাজে আন্তরিকভাবে বিনীত। যারা অহেতুক বিষয় থেকে বিরত থাকে। যারা যাকাত সম্পাদনকারী। যারা নিজ লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করে; নিজেদের স্ত্রী ও মালিকানাধীন দাসীদের ছাড়া অন্য সকলের থেকে, কেননা এতে তারা নিন্দনীয় হবে না। তবে কেউ এছাড়া অন্য কিছু কামনা করলে তারাই হবে সীমালঙ্ঘনকারী।
এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের পরিপূর্ণ রক্ষণাবেক্ষণ করে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফিরদাউসের মীরাস লাভ করবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ -(সূরা মুমিনূন : ১-১১)
কোরআন ও হাদিসে জায়গায় জায়গায় আল্লাহর সন্তুষ্টির লাভের বিভিন্ন আমলের কথা বলা হয়েছে। এমনি একটি আমলের সুসংবাদ দিয়েছেন আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা একেবারে সহজ, কোনও কষ্ট ছাড়াই অনায়েসেই করা যায়, তবে আল্লাহর কাছে অনেক প্রিয় ও আমলের পাল্লায় ভারি।
এ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘দুইটি বাক্য এমন রয়েছে— যা বলা সহজ ও আমলের পাল্লায় অনেক ভারী। আর মহান আল্লাহর কাছেও অধিক পছন্দনীয়। সেটি হলো- সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম।’ -(বুখারি, হাদিস : ৬৪০৬)
আরবি :
سُبْحانَ اللَّهِ وبِحَمْدِهِ، سُبْحانَ اللَّهِ العَظِيمِ উচ্চারণ : সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আজিম। অর্থ : মহান সেই আল্লাহ এবং তারই সকল প্রশংসা। মহান সেই আল্লাহ যিনি সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী।
হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত আরেক হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যদি কেউ সকালে ও সন্ধ্যায় ১০০ বার করে ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী’ বলে, তাহলে কেউ তার থেকে বেশি আমল নিয়ে কেয়ামতের দিন উপস্থিত হতে পারবে না।’
অন্য বর্ণনায় আছে তিনি বলেন, ‘ওই ব্যক্তির গুনাহ যদি সমুদ্রের ফেনার থেকেও বেশি হয়, তাহলেও আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন।’ - সহীহ মুসলিম ৪/২০৭১, ২৬৯২, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩/১৪১, সুনানুত তিরমিজি ৫/৫১১,
হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত আরেক হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যদি কেউ সকালে ও সন্ধ্যায় ১০০ বার করে ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী’ বলে, তাহলে কেউ তার থেকে বেশি আমল নিয়ে কেয়ামতের দিন উপস্থিত হতে পারবে না।’