ইসলাম ডেস্ক: নামাজ বা সালাত হল ইসলাম ধর্মের প্রধান ইবাদত। মূলত সে কারণে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত (নির্দিষ্ট নামাজের নির্দিষ্ট সময়) নামাজ আদায় করে থাকেন। নামাজ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি। শাহাদাহ্ বা বিশ্বাসের পর নামাযই ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।
নামাজ প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক, স্বাধীন, সুস্থ্য জ্ঞানের অধিকারী নারী-পুরুষের উপর ফরজ। কিন্তু এ নামাজ আদায়ে একাগ্রতা, একনিষ্ঠতার গুরুত্ব অত্যধিক। যার ফলে একই নামাজের ছাওয়াব ক্ষেত্রে বিশেষ কম-বেশির ঘোষণা দিয়েছেন স্বয়ং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, পুরুষদের পক্ষে জামায়াতে নামাজ আদায় করার সওয়াব তার ঘরে ও বাজারে নামাজ পড়ার চেয়ে পঁচিশ গুণ বেশি। এই কারণে যে, কোনো ব্যক্তি যখন খুব ভালভাবে অজু করে নামাজের উদ্দেশ্যে মসজিদে গমন করে এবং নামাজ ছাড়া তার মনে আর কোনো উদ্দেশ্য থাকে না, তখন মসজিদে প্রবেশ না করা পর্যন্ত প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে তার মর্যাদা বৃদ্ধি পায় এবং তার একটি গোনাহও মাফ হয়ে যায়। মসজিদে প্রবেশ করে যতক্ষণ পর্যন্ত সে নামাজের অপেক্ষায় বসে থাকে, ততক্ষণ সে নামাজের অনুরূপ ছাওয়াবই পেতে থাকে।
আর যে ব্যক্তি নামাজ আদায়ের পর কাউকে কষ্ট না দিয়ে অজুসহ মসজিদে অবস্থান করে, ততক্ষণ ফেরেশতারা তার মার্জনার (ক্ষমার) জন্য এই বলে দোয়া করতে থাকে, ‘হে আল্লাহ! একে তুমি ক্ষমা করে দাও; হে আল্লাহ! এর তাওবা কবুল কর; হে আল্লাহ! এর প্রতি তুমি দয়া প্রদর্শন কর। (বুখারি ও মুসলিম)
২৫ জানুয়ারি ২০১৬/এমটি নিউজ২৪ডটকম/জেএম/আরএম