এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : গুনাহের মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়। আপন রব থেকে দূরে সরে যায়। জীবনে বরকত কমার অন্যমত কারণও গুনাহে লিপ্ত থাকা। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যদি সেসব জনপদের অধিবাসীরা ঈমান আনত ও তাকওয়া অবলম্বন করত তাহলে আমি তাদের জন্য আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর বরকত (কল্যাণ ও প্রাচুর্য) উন্মুক্ত করে দিতাম। কিন্তু তারা প্রত্যাখ্যান করেছিল, সুতরাং তাদের কৃতকর্মের জন্য তাদের শাস্তি দিয়েছি।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৯৬)
মানুষ বুঝে না বুঝে নিজের অজান্তে অনেক পাপে জরিয়ে পড়ে। তবে কিছু পাপ আছে যেগুলোকে সব থেকে বড় গুনাহ বলেছেন আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। এ বিষয়ে হজরত আবু বাকরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত-
তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে সবচেয়ে বড় (কবীরাহ) গুনাহ সম্পর্কে সংবাদ দেবো না?’ তিনি তিনবার একথা বললেন। আমরা বললাম, অবশ্যই, হে আল্লাহর রাসূল। তিনি বললেন, ‘আল্লাহর সাথে শরীক করা, মাতা-পিতার নাফরমানী করা, তিনি হেলান দেয়া অবস্থায় ছিলেন, তারপর উঠে বসলেন এবং বললেন, সাবধান! মিথ্যা কথা বলা ও মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া।’ তিনি কথাটি বার বার বলছিলেন। এমনকি আমরা বললাম, যদি তিনি চুপ হতেন। (বুখারী ও মুসলিম)
আরেক হাদিসে বিখ্যাত সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু সবচেয়ে বড় গুনাহ সম্পর্কে জানার জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রশ্ন করেছিলেন। বর্ণিত হয়েছে-
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম- হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সবচেয়ে বড় গুনাহ কোনটি?
তিনি বললেন, কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ স্থির করা। অথচ তিনিই তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। এরপর তিনি বললেন, তারপর কোনটি? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমার সঙ্গে খাবে, এ ভয়ে তোমার সন্তানকে হত্যা করা।
তিনি বললেন, তারপর কোনটি?
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সঙ্গে জি'না (ব্য'ভিচা'র) করা। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কথার সত্যতা ঘোষণা করে নাজিল হলো-‘আর যারা আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোনো ইলাহকে ডাকে না।’ (বুখারি)