ইসলাম ডেস্ক : পবিত্র রমজান মাসের শেষ জুমাকে বলা হয় জুমাতুলবিদা। ১৪৪৪ হিজরির শেষ জুমাবার শুক্রবার (২১ এপ্রিল)। মুসলিম উম্মাহর কাছে এটি একটি পবিত্র দিন। জুমাতুল বিদা রোজাদারকে স্মরণ করিয়ে দেয়, রমজানের শেষলগ্নে এর চেয়ে ভালো কোনোদিন আর পাওয়া যাবে না।
ঘড়ির কাঁটা বেলা সাড়ে ১১টা। জুমার নামাজের আজান দিতে প্রায় ঘণ্টার মতো সময় বাকি। সাত বছর বয়সী তাসিনকে নিয়ে একই ডিজাইনের পাঞ্জাবি পরে বায়তুল মোকাররম মসজিদে আখেরি জুমা পড়তে এসেছেন বাবা আব্দুল আউয়াল।
দ্রুত হেঁটে মসজিদে প্রবেশ করা বাবা-ছেলের সঙ্গে কথা হয় সংবাদকর্মীর। আউয়াল জানান, ছেলেকে সঙ্গে করে আখেরি জুমার নামাজ পড়তে এসেছি। দেরি হয়ে গেলে ভেতরে জায়গা পাওয়া যাবে না। শিশু তাসিন জানায়, আব্বার সঙ্গে নামাজ পড়তে এসেছি।
আউয়ালের মতো অনেকেই সন্তানদের সঙ্গে করে বায়তুল মোকাররমে আখেরি জুমার নামাজ পড়তে এসেছেন। সরেজমিন দেখা যায়, বেলা ১১টা থেকে মসজিদে মুসল্লিরা প্রবেশ করতে শুরু করেন। যতই আজানের সময় ঘনিয়ে আসছিল, মুসল্লিদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। অনেকেই প্রখর রোদ উপেক্ষা করেই দূরদূরান্ত থেকে ছুটে এসেছেন রমজানের শেষ জুমার নামাজ আদায় করতে।
মো. ইয়াকুব খান গুলশান-২ নাম্বারে থাকেন। বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ পড়েননি কখনো। ইয়াকুব জানান, ঢাকায় থাকা হয় অনেক বছর। কিন্তু রমজানে বায়তুল মোকাররমে জুমা পড়া হয়নি কখনও। গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত নিলাম আখেরি জুমাটা এখানেই পড়ব।
মো. হাছানের সঙ্গে বায়তুল মোকাররমে মূল ফটকে কথা হয়। তিনিও শিশু সন্তানকে নিয়ে নামাজ পড়তে এসেছেন। হাছান বলেন, এক মাস মুসল্লিরা সিয়াম সাধনা করেছে। আজ আখেরি জুমায় আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইব। গুনাহ থেকে ফানাহ চাইব। এমনও হতে পারে এটাই আমাদের অনেকের শেষ জুমা।
মুসল্লিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দূরদূরান্ত থেকে বায়তুল মোকাররমে নামাজ পড়তে আসাদের অনেকেই একইসঙ্গে টুকটাক কেনাকাটার পরিকল্পনা নিয়েই এসেছেন। তাদেরই একজন মহাখালীর বাসিন্দা মো. মনির। তিনি জানান, নামাজ পড়তে আসাটাই মূল উদ্দেশ্য। যেহেতু এখানে আসছি টুপি ও আতর কিনলাম।
অনেক মুসল্লিকে জাতীয় মসজিদে নামাজ পড়তে আসার মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করতে দেখা গেছে। বেশিরভাগই ক্লিক ক্লিক শব্দে সেলফিতে ছবি জমা করছেন ফোনে। সেলফি তোলায় ব্যস্ত আদিল বলেন, বন্ধুরা আসছি একসঙ্গে রমজানের শেষ জুমা পড়তে। কয়েকটা ছবি তুলে স্মৃতি জমা করে রাখলাম।