ইসলাম ডেস্ক : কোরবানির পশুর অংশে সন্তানের আকিকা দেওয়া যায়। কোরবানির গরু, মহিষ ও উটে আকিকার নিয়তে শরিক হওয়া যায়। এতে কোরবানি ও আকিকা দুইটিই হবে। ছেলের জন্য দুই অংশ আর মেয়ের জন্য এক অংশ দিতে হবে। (ইলাউস সুনান : ১৭/১২৬)
ইসলামিক ফিকাহবিদরা বলেছেন, কোরবানির সঙ্গে আকিকা দেওয়া যাবে। কারণ কোরবানির উদ্দেশ্য হচ্ছে, ইবাদত পালন করা ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা। আকিকারও উদ্দেশ্য হচ্ছে, আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করে ইবাদত পালন করা ও নৈকট্য অর্জন করা। হাদিস শরিফে এসেছে-ছেলের জন্য ২টি ছাগল ও মেয়ের জন্য ১টি ছাগল আকিকা দেওয়া উত্তম। ছেলের জন্য ১টি ছাগল দিলেও চলবে।
আল্লাহর রাসুল (সা.) হাসান (রা.)-এর জন্য একটি ও হোসাইন (রা.)-এর জন্য একটি ছাগল দ্বারা আকিকা আদায় করেছেন। তোরবানির সঙ্গে আকিকা করলে মেয়ের জন্য এক ভাগ ও ছেলের জন্য দুই ভাগ দেওয়া উত্তম। যদি কোনো সমস্যা থাকে তাহলে ছেলের জন্য এক ভাগ দিলেও চলবে। (সুনানে আবু দাউদ : ২৮৩৬, ফতোয়ায়ে আলমগিরি, খণ্ড : ৫, পৃষ্ঠা : ৩০৪, বাদায়েউস সানায়ে, খণ্ড : ৪, পৃষ্ঠা : ২০৯)
প্রসঙ্গত সন্তান জন্মের পর আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া আদায়ের উদ্দেশে জন্মের সপ্তম দিনে পশু জবাই করাকে আকিকা বলে। আকিকা করা মুস্তাহাব। হাদিস শরিফে আকিকার প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। রাসুল (সা.)-কে আকিকা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সন্তানের আকিকা করার ইচ্ছা করে, সে যেন তা পালন করে। ছেলের জন্য সমমানের দুইটি ছাগল। আর মেয়ের জন্য একটি। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক : ৭৯৬১)
অন্য হাদিসে আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সন্তানের সঙ্গে আকিকার বিধান রয়েছে। তোমরা তার পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত কর (অর্থাৎ পশু যবাই কর) এবং সন্তানের শরীর থেকে কষ্টদায়ক বস্তু (চুল) দূর করে দাও। (সহিহ বুখারি : ৫৪৭২)
সন্তান জন্মের সপ্তম দিন আকিকা করা উত্তম। এক হাদিসে সপ্তম দিনে আকিকা করার কথা বলা হয়েছে। (তিরমিজি, হাদিস: ১৫২২) রাসুলুল্লাহ (সা.) তার দৌহিত্রদ্বয় হাসান ও হুসাইন (রা.)-এর আকিকা সপ্তম দিনে করেছেন। (সুনানে আবু দাউদ : ২৮৩৪)