ইসলাম ডেস্ক : পবিত্র কাবা শরিফে নতুন গিলাফ লাগানো হয়েছে। বুধবার পুরনো গিলাফটি সরিয়ে সম্পূর্ণ নতুন গিলাফে মোড়ানো হয় আল্লাহর ঘর কাবা।
আরবি নতুন বছর ১৪৪৫ হিজরির প্রথম প্রহরে পরিবর্তন পবিত্র কাবার এ গিলাফ পরিবর্তন করা হয়। হিজরি নববর্ষকে স্মরণীয় করতে গত বছর থেকে এই উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
এর আগে প্রতি বছর ৯ জিলহজ সকালে কাবার গিলাফ পরিবর্তন করা হতো। তবে গতবছর থেকে সেই নিয়মে পরিবর্তন এনে হিজরি নববর্ষের প্রথম দিন কাবার গিলাফ পাল্টানো হচ্ছে।
সৌদি বার্তাসংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, বুধবার দশ ধাপে ‘পুরাতন গিলাফ’ পরিবর্তন করা হয়। পুরাতনটি সরিয়ে হাতে তৈরি নতুন গিলাফটি কাবায় লাগাতে অংশ নেয় ১৩০ জনের একটি দল। এতে ছিলেন প্রযুক্তিবিদ ও গিলাফটির নির্মাতারা।
কাঁচা সিল্কের নতুন গিলাফে ১২০ কেজি সোনা ও ১০০ কেজি রুপার তার দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। পবিত্র গিলাফ তৈরিতে দীর্ঘদিন সতর্কতার সঙ্গে কাজ করেছে একদল দক্ষ কারিগর।
আল আরাবিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিল্ক দিয়ে তৈরি গিলাফের কালো অংশ সোনার তারে পবিত্র কুরআন শরিফের আয়াত ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
এই গিলাফের পারিভাষিক নাম ‘কিসওয়াহ’। পুরো বছরজুড়ে বিশাল কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সুইং মেশিনে খুবই সতর্কতার সঙ্গে কাবার গিলাফটি তৈরি করা হয়।
গিলাফটি মোট ৫৬টি টুকরায় তৈরি করা হয়েছে। আর এগুলো একেকটি তৈরি করতে সময় লেগেছে ৬০ থেকে ১২০ দিন।
এর আগে বাদশাহ আবদুল আজিজ কিসওয়াহ কমপ্লেক্স থেকে বিশেষ ট্রাক ও যানবাহনে শোভাযাত্রায় করে কাবা শরিফ এসব কাপড় নিয়ে আসা হয়।
মসজিদুল হারামের বাইরের গেট থেকে কাবা শরীফকে মাতাফে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট পথ নির্ধারণ করা হয়েছিল। ১৫ সদস্যের একটি বিশেষ দল কিসওয়াহর রূপান্তরের পুরো প্রক্রিয়াটি তদারকি করেছিল।
কাবার গিলাফ তৈরিতে প্রায় ২০০ জন শিল্পী ও কর্মচারি আব্দুল আজিজ কমপ্লেক্সে কাজ করে থাকেন। বিভিন্ন বিভাগে কাজ করেন তারা। কাবার গিলাফের প্রত্যেকটি অংশ তৈরির জন্য আলাদা আলাদা বিভাগ আছে।
এখানে থাকা সেলাই বিভাগে রয়েছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ সেলাই মেশিন। যেটি ১৬ মিটার লম্বা। কম্পিউটার প্রযুক্তির মাধ্যমে এটি চালানো হয়। (ভিডিও)