বৃহস্পতিবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ০৩:১২:৪৪

সুবহানাল্লাহ! মুগ্ধ হয়ে ইসলাম গ্রহণ করলেন আমেরিকার সেই নারী

সুবহানাল্লাহ! মুগ্ধ হয়ে ইসলাম গ্রহণ করলেন আমেরিকার সেই নারী

ইসলাম ডেস্ক : পাশ্চাত্যে প্রায় প্রতিদিনই ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছেন অনেক মানুষ। তাদের মধ্যে একজন কারিমা রাজি। তিনি গত বছরের শুরুতে ইসলামের প্রতি মুগ্ধ হয়ে নিজ ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করেন।

এই নও-মুসলিম কারিমা রাজি একসময় ছিলেন কট্টর নারীবাদী। ইসলাম গ্রহণের পূর্বে তিনি ইসলাম ধর্ম নিয়ে তিন বছর গবেষণা করেন। এরপরই ইসলামের প্রতি মুগ্ধ হয়ে তিনি নিজ ধর্ম ছেড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। কেন তিনি ইসলাম গ্রহণ করলেন? তার মুখেই বর্ণণা করলেন সেই অভিজ্ঞতার কথা।

তার মতে, ইসলাম গ্রহণের আগে তিনি বরাবরই ইসলামের রীতিনীতিগুলোকে অবিশ্বাস্য বলেই মনে করতেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি বুঝতে ও জানতে পারলেন যে, একমাত্র ইসলামই নারীকে দিয়েছেন সব থেকে বেশি মর্যাদা। যা অন্যান্য ধর্মগুলো থেকে অধিক।

কারিমা রাজি বলেন, ইসলামের আলোকে এটা এখন আমার কাছে স্পষ্ট যে, আমার পুরো জীবন এগিয়ে যাচ্ছিল এই স্পর্শকাতর মুহূর্তের দিকে। আর এই পথ-পরিক্রমার তিনটি বছর একদিকে ছিল কঠিন ও অন্যদিকে আনন্দের। এই সময়ে নিজের ব্যাপারে ও বিশ্ব সম্পর্কে আমার চিন্তাধারায় ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। ইসলাম গ্রহণের পর আমার কোন কোন ধারণা খুবই শক্তিশালী হয়েছে এবং কোন কোন ধারণা বা বিশ্বাস পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, পড়াশুনা ও গবেষণা ধীরে ধীরে আমাকে সেই দিনটির দিকে নিয়ে গেল যেদিন আমি পাঠ করলাম শাহাদাতাইন তথা 'আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ (সা.) হলেন তার প্রেরিতপুরুষ বা রাসূল'।

রাজি আরো বলেছেন, 'ইসলামের সঙ্গে পরিচিত হওয়া আগেই জীবনে আধ্যাত্মিক পরিতৃপ্তির সন্ধান করতাম। কিন্তু গ্রহণযোগ্য বা পাওয়া সম্ভব এমন কিছুই আমার সামনে কিংবা কাছে ছিল না। আরো ভালোভাবে বলতে গেলে বলতে হয় আমি ছিলাম একজন স্যেকুলার বা ধর্ম-নিরপেক্ষ ব্যক্তি।

তিনি জানান, কেলেজে ঘটনাক্রমে মুসলমানদের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে ইসলাম সম্পর্কে পড়াশুনা শুরু করি। আমি যতই মুসলমানদের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলাম ততই তাদের অভ্যন্তরীণ প্রশান্তি ও সুদৃঢ় ঈমান আমাকে আকৃষ্ট করছিল। প্রথমে ভাবতাম যে, ইসলাম সহিংসতা ও লিঙ্গ বৈষম্যের ধর্ম। কিন্তু মুসলমানদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পর আমার এই ধারণা পরিবর্তিত হয়। ফলে ইসলাম সম্পর্কে ধীরে ধীরে আরো জানার সিদ্ধান্ত নেই।

মার্কিন নও-মুসলিম নারী কারিমা রাজি আরো বলেছেন: ইসলাম কেবল নারী-পুরুষের সাম্যেই নয়, সব জাতি ও সমাজের সব শ্রেণীর মধ্যেই সমান অধিকারে বিশ্বাসী। ইসলামের দৃষ্টিতে খোদাভীতি বা তাকওয়ার দিকটি ছাড়া মানুষের মধ্যে কেউ কারো চেয়ে বড় নয়। এভাবে নিজের প্রতি ও নিজের সিদ্ধান্তগুলোর প্রতি আস্থাশীল বা আত্মবিশ্বাসী হলাম।
৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে