শুক্রবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ০৪:২২:৫২

আল্লাহর কী রহমত, মসজিদটি মাটির তৈরি অথচ যুগ যুগ ধরে অক্ষত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে

আল্লাহর কী রহমত, মসজিদটি মাটির তৈরি অথচ যুগ যুগ ধরে অক্ষত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে

ইসলাম ডেস্ক: সৃষ্টিকর্তার সবচেয়ে পছন্দের ঘর হচ্ছে মসজিদ। আর এই মসজিদ হচ্ছে মুসলমানদের উপাসনার অন্যতম স্থান। মহান সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি লাভের জন্য মসজিদে গিয়ে মুসলমানরা উপাসনা করে থাকে। আর তাইতো পৃথিবীর জোড়া কত রকম সৌন্দর্য্যপূর্ণ মসজিদ রয়েছে। আধুনিক কারুকার্যে এসব মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদ দেখে শুধু মুসলমানরাই নয় ভিন্ন ধর্মাবলম্বিরাও অভিভূত হন। স্থাপত্যশৈল্পিক মসজিদের খ্যাতি তাইতো বিশ্বজোড়া। এই সৌন্দর্য্য শুধু এখনকার আধুনিকতার জন্য নয়, এটি আদি যুগ হতে হয়ে আসছে। অনেক শত শত বছরের পুরোনো মসজিদ রয়েছে স্থাপত্যশৈল্পিক। এগুলো এখনও মানুষকে বিমুগ্ধ করে।

এমন অনেক মসজিদের মধ্যে আজ আমরা দেখবো পৃথিবীর বুকে মাটি দিয়ে তৈরি সবচেয়ে বড় মসজিদের করা। অত্যন্ত দারুন কিছু চমকপ্রদ তথ্যও রয়েছে এর সঙ্গে। তাহলে আসুন জেনে নিই সবচেয়ে বড় মাটির তৈরি এই মসজিদের কথা।

মাটির তৈরি পৃথিবীতে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মসজিদটি অবস্থিত আফ্রিকার উত্তরাঞ্চলে ডিজেনি শহরে। এই বড় মাটির মসজিদটির নাম ‘গ্র্যান্ড মস্ক অব ডিজেনি’। আর এটিই হল এখন পর্যন্ত পৃথিবীতে মাটির তৈরি সবচেয়ে বড় মসজিদ।

তাহলে জেনে নিন মসজিদটি প্রথম কবে নির্মাণ করা হয়েছিল সে তথ্য জানা না গেলেও ধারণা করা হয়, ১২শ’ শতাব্দি হতে ১৩শ’ শতাব্দির মাঝামাঝিতে এই মসজিদটি নির্মাণ হয়েছিল। শোনা যায় যে, সুলতান কুনবুরু (Kunburu) ধর্মান্তরিত হন এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর, তার প্রাসাদটি ভেঙ্গে সেখানে এই মাটির মসজিদটি নির্মাণ করেন।

জানা যায়, ফরাসী এক পর্যটক রেনে ১৮২৮ সালে এই এলাকা সফরের আগ পর্যন্ত এই মসজিদটি সম্পর্কে লিখিত কোন তথ্যই ছিলনা। রেনে তার সফরশেষে লিখেগিয়েছেন, ডিজেনি শহরে মাটির তৈরি একটি মসজিদ রয়েছে। এর দুইপাশে দুটি দর্শনীয় কম উচ্চতার টাওয়ার রয়েছে। শোনা যায়, এরপর থেকেই মূলত এই মাটির তৈরি এই মসজিদ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়।

মসজিদটি ২৪৫ ফুট আয়তনবিশিষ্ট, ৩ ফুট উঁচু ফ্ল্যাটফরমের উপর তৈরি করা হয়েছে। বানি নদীর তীরে এই মসজিদটি অবস্থিত। বর্ষাকালে বানি নদীর প্লাবিত পানি হতে মসজিদটিকে সুরক্ষা করে থাকে এই ফ্ল্যাটফরম। মসজিদের দেয়ালগুলো তাল গাছের কাঠ, যা স্থানীয়ভাবে টরল নামে পরিচিত। সেগুলো দিয়েই মূলত নকশা তৈরি করা হয়েছে। শুধু নকশাই নয়, তাল গাছের কাঠ মসজিদের দেওয়ালে এমনভাবে গেঁথে দেওয়া হয়েছে যাতে করে মাটির দেওয়াল সহজে ধ্বসে না যায়। প্রতি বছর স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের উদ্যোগে এই মসজিদটির সংস্কার কাজ করা হয়ে থাকে।

আপনি কখনও আফ্রিকা অঞ্চলে বেড়াতে গেলে আফ্রিকার উত্তরাঞ্চলে ডিজেনি শহরে গিয়ে প্রাচীন ঐতিহ্যের ধারক বাহক ‘গ্র্যান্ড মস্ক অব ডিজেনি’ মসজিদটি দেখে আসবেন।
৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটি নিউজ২৪ ডটকম/জেএম/আরএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে