ইসলাম ডেস্ক : কোনো অবস্থাতেই নামাজ আদায় থেকে বিরত থাকা যাবে না। পরম করুণাময় নামাজ কায়েমের ওপর বারবার তাগিদ দিয়েছেন। কোথাও ভ্রমণে গেলে নামাজ আদায় করে নেবেন। আমাদের দেশের বেশির ভাগ আন্তঃনগর ট্রেনে নামাজের জন্য আলাদা নামাজের কক্ষ রয়েছে।
সেখানে সফরকারীরা নামাজ আদায় করতে পারেন। ট্রেনে নামাজের ব্যবস্থা রাখা একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তবে এর পরিসর আরেকটু বাড়ানো দরকার।
আমাদের দেশের বেশির ভাগ রেললাইন মিটার গেজ, তাই ট্রেন চলার সময় বেশি ঝাঁকুনি লাগে।
ফলে ট্রেন চলা অবস্থায় দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া অনেকের জন্য মুশকিলের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ ট্রেনের ঝাঁকুনির ফলে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। এ ছাড়া নামাজ অবস্থায় ট্রেন দিক পরিবর্তন করলে কেবলা ঠিক রাখা যায় না। এ অবস্থায় অনেকেই নামাজ আদায় নিয়ে খুব চিন্তিত থাকেন।
এসব সমস্যার ক্ষেত্রে ইসলামী বিশেষজ্ঞদের অভিমত, সম্ভব হলে ফরজ নামাজ দাঁড়িয়ে আদায় করা ফরজ। ট্রেনে ভ্রমণকালে যথাসম্ভব দাঁড়িয়ে নামাজ আদায়ের চেষ্টা করবেন। প্রয়োজনে কিছু ধরে হলেও দাঁড়াতে পারবে। যদি দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া সম্ভব না হয়- তবে সেক্ষেত্রে বসে নামাজ পড়তে পারবেন।
ট্রেনে নামাজ শুরু করার সময় কেবলার দিক নিশ্চিত করে সেদিকে ফিরে নামাজ পড়তে হবে। নামাজ অবস্থায় ট্রেন ঘুরে যাওয়ার কারণে কেবলার দিক পরিবর্তন হয়ে গেলে নামাজি তা বুঝামাত্র কেবলার দিকে ঘুরে যাবে। কেবলার দিক পরিবর্তন হয়ে গেছে জানা সত্ত্বেও নামাজে কেবলার দিকে না ঘুরলে ওই নামাজ পুনরায় পড়ে নিতে হবে।
তবে শুরুতে কেবলামুখী হয়ে দাঁড়ানোর পর নামাজের ভেতর কেবলা পরিবর্তনের বিষয়ে জানতে না পারার কারণে যদি ওইভাবেই নামাজ শেষ হয়; তবে তার নামাজ আদায় হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, চলন্ত ট্রেনে ওই সময় নামাজে দাঁড়ানো উচিত যখন ট্রেনটি একদিকে চলতে থাকে। তাতে নামাজের ভেতর কেবলা পরিবর্তন করতে হবে না। (ত্রুটি মার্জনীয়)
৯ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম