ইসলাম ডেস্ক : শবে বরাতের রাতে আল্লাহ তাআলা তার অনুগত বান্দাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেন। হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী বান্দা আল্লাহ তাআলার নিকট যা চায়, তাই পায়। কিন্তু এ রাতে আল্লাহ তাআলা কিছু মানুষকে মাফ করেন না।
এ রাতে মহান আল্লাহ মানুষকে ক্ষমা করে দেবেন বলে হাদিসে পাকে ঘোষণা এসেছে-
عن معاذ بن جبل عن النبي صلى الله عليه وسلم قال : يطلع الله إلى خلقه في ليلة النصف من شعبان، فيغفر لجميع خلقه إلا لمشرك أو مشاحن.
হজরত মুআয ইবনে জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন ‘অর্ধ শাবানের রাতে আল্লাহ সৃষ্টির প্রতি দৃষ্টিপাত করেন। অতপর শিরককারী ও বিদ্বেষপোষণকারী ছাড়া তার সমগ্র সৃষ্টিকে ক্ষমা করে দেন।’ (ইবনে হিববান ৫৬৬৫, ইবনে মাজাহ ১৩৯০)
শবে বরাতেও যারা ক্ষমা পাবে না
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে— এ রাতে আল্লাহ তাআলা তাঁর উম্মাতকে ক্ষমা করে দেন। কিন্তু সাত শ্রেণির মানুষের জন্য কোনো ক্ষমা বা কল্যাণের অংশ থাকে না। তারা হলো-
১. জাদুকর;
২. শরাব খোর তথা ম.দ্যপানকারী বা নে.শাকারী;
৩. জিনাকারী তথা ব্যভিচারী ব্যক্তি;
৪. আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী;
৫. পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান;
৬. গীবত বা পরনিন্দাকারী;
৭. (দান ও কল্যাণের) কৃপণ এবং ওই হিংসুক ব্যক্তি যে তিন দিনের বেশি অপর মুসলমান ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ রাখে। এদের কখনো মাফ করা হয় না।
বিশেষ করে মুসনাদে আহমদে এসেছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলালাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ১৫ শাবানের রাতে মহান আল্লাহ তাআলা তার সৃষ্টি জীবের প্রতি বিশেষ (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং হিংসুক ও খুনি ছাড়া অন্য বান্দাদের ক্ষমা করে দেন।
সুতরাং আল্লাহ তাআলা উপরে বর্ণিত লোকদের চরিত্র থেকে মুসলিম উম্মাহকে হিফাজত করুন। শবে বরাতের কল্যাণ ও ক্ষমা লাভে সকলকে নিজ নিজ গৃহে নফল ইবাদাত-বন্দেগি, তাওবা-ইস্তিগফার, কুরআন তিলাওয়াতসহ জিকির-আজকারে রাত্রি জাগরণ করার এবং পরদিন রোজা রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।