বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ১১:২০:৪৯

নবীজির সবচেয়ে পছন্দের দুই নাম

নবীজির সবচেয়ে পছন্দের দুই নাম

মুফতি আবদুল্লাহ তামিম : সুন্দর নাম রাখার তাগিদ দিয়ে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কিয়ামতের দিন তোমাদের নিজ নাম ও পিতার নামে ডাকা হবে। সুতরাং তোমরা সুন্দর নাম রাখো। (আবু দাউদ ৪৩০০) কিয়ামতের দিন তোমাদের নিজ নাম ও পিতার নামে ডাকা হবে। সুতরাং তোমরা সুন্দর নাম রাখো। (আবু দাউদ ৪৩০০)

এইজন্য প্রতিটি বাবা মায়ের জন্য আবশ্যকীয় বিষয় হলো সন্তানদের সুন্দর অর্থবহ নাম রাখা। নবীজির কাছে সবচেয়ে পছন্দের নাম দুটি। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সবচেয়ে পছন্দনীয় নাম হলো আবদুল্লাহ ও আব্দুর রহমান। (মুসনাদে আহমাদ ৪৬৪)

 আবদুল্লাহ ও আবদুর রহমান এ দুটো হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এজন্য পছন্দনীয় ছিল যে, এ নামের অংশ উত্তম এবং পছন্দনীয় অর্থ প্রকাশ করে। বান্দার জন্য দাসত্ব উপযোগী। আল্লাহর নাম হলো বরকতময়। এ ছাড়া সবচেয়ে বড় হলো, স্বীয় সৃষ্টিকর্তা ও মাবূদের সাথে বান্দার সম্পর্ক ও সংযোগ হয়ে থাকে।

আবদুল্লাহ অর্থ আল্লাহর গোলাম বা বান্দা। আর আবদুর রহমান অর্থ হলো রমমানের গোলাম, বা দয়াময় আল্লাহর গোলাম। এমনিভাবে আবদুর রহমানে আবদ-এর সংযোগ রহমানের দিকে হয়ে থাকে। যেহেতু রহম ও করমের সম্পর্ক আল্লাহর অত্যন্ত পসন্দনীয়, তাই এ গঠন ও বিন্যাস উত্তম।

সুতরাং এর সাথে মিলানো নাম, যেমন আবদুর রহীম, আবদুল কাদির ইত্যাদি হলো উত্তম নাম। অনেক লোক না বুঝে স্বীয় সন্তানের নাম উল্টা রেখে থাকে। যার কোন কোনটি অর্থহীন আর কোন কোনটি খারাপ অর্থ প্রকাশ করে।

হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামের ভালমন্দের দিকে অত্যন্ত লক্ষ্য রাখতেন। কারো খারাপ নাম শুনলে তা পরিবর্তন করে দিতেন। একবার তিনি একটি মেয়ের নাম শুনলেন আসিয়া (عاصيه) যার অর্থ গুনাহগার ও নাফরমান, তখন তিনি তার নাম পরিবর্তন করে রাখলেন জামিলা (جميله) বা সুন্দরী।

মুয়াত্তা ইমাম মালিক গ্রন্থে বর্ণিত আছে, একবার রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন এ উটের দুধ কে দোহন করবে? এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, আমি। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন তোমার নাম কি? লোকটি বলল, مره (তিক্ত)।

তিনি বললেন তুমি বস। অতঃপর বললেন, এ উটের দুধ কে দোহন করবে? অন্য এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, আমি। তিনি তাকেও জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার নাম কি? সে বলল, حرب (যুদ্ধ)। তিনি তাকেও বললেন, তুমি বস। এরপর পুনরায় তিনি বললেন, এর দুধ কে দোহন করবে?

তৃতীয় ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, আমি । তিনি তাকেও জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার নাম কি? সে বলল, يعش এটা عيش থেকে নির্গত (যার অর্থ আনন্দ উল্লাস) তখন নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন তুমি দোহন কর। (মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহ, আদাব-শিষ্টাচার অধ্যায়) 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে