রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ০৮:১৭:২৭

সুবাহানাল্লাহ, কিয়ামতের মাঠে সুন্নাত নামাজ ফরজের ঘাটতি পূরণ করবে

সুবাহানাল্লাহ, কিয়ামতের মাঠে সুন্নাত নামাজ ফরজের ঘাটতি পূরণ করবে

ইসলাম ডেস্ক: শরিয়তের প্রতিটি হুকুম পালনের ক্ষেত্রে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শকে সামনে রাখা- একান্ত অপরিহর্য বিষয়। কেননা, তার জীবনাদর্শ অনুসরণ ও অনুকরণ ব্যতীত আল্লাহতায়ালার আদেশ ও নিষেধাবলির পালন পূর্ণতা লাভ করতে পারে না। তার আদর্শ অনুসরণ-অনুকরণ ও তাকে ভালোবাসার মাধ্যমে অর্জিত হয় আল্লাহ তায়ালার ভালোবাসা ও সন্তুষ্টি।

এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা কোরআনে কারিমে ইরশাদ করেন, ‘হে নবী! আপনি বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহও তোমাদিগকে ভালোবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু।’ -সূরা আল ইমরান:৩১

ফরজ নামাজের পাশাপাশি সুন্নত নামাজের গুরুত্ব কম নয়। কারণ, যথাযথভাবে সঠিক পদ্ধতিতে গুরুত্ব সহকারে সুন্নত নামাজ আদায় করার মাধ্যমে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুপম আদর্শ অনুসরণ ও তার প্রতি অগাধ ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। সুন্নত নামাজের গুরুত্ব সম্পর্কে বলা হয়, কিয়ামতের দিন কারো ফরজ নামাজে ঘাটতি থাকলে, এ নামাজ দ্বারা আল্লাহতায়ালা সেই ঘাটতি পূরণ করবেন।

প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে ও পরে বারো রাকাত সুন্নত নামাজ রয়েছে। এগুলো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বদা আদায় করতেন এবং সাহাবাদের আদায় করতে বলতেন। তবে কখনো কোনো কারণ ছাড়া তা আদায় করা থেকে বিরত থাকতেন না। অসংখ্য হাদিসে সুন্নত নামাজের ফজিলতের কথা বলা হয়েছে ।

উম্মে হাবিবা রাযিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতে ও দিনে বারো রাকাত নামাজ আদায় করলো, জান্নাতে তার জন্য একটি গৃহ নির্মাণ করা হলো। (সেগুলো হলো) জোহরের (ফরজ নামাজের) পূর্বে চার রাকাত, পরে দুই রাকাত, মাগরিবের পর দুই রাকাত, ইশার পর দুই রাকাত, ফজর নামাজের পূর্বে দুই রাকাত। –তিরমিজি
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জেএম/আরএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে