ইসলাম ডেস্ক: মুসলমানদের উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়েছে। তবে অনেকে বিভিন্ন কারণে নামাজ ঠিক সময়ে পড়তে পারেন না। এমনকি অনেক সময় নামাজ ছুটেও যায়। কিন্তু প্রত্যেক মুসলমানকে অবশ্যই এটা মনে রাখা উচিত যে, ফরজ নামাজ ছুটে গেলে প্রত্যেককে অবশ্যেই কাজা নামাজ আদায় করতে হবে।
এ সম্পর্কে আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, ‘নির্দিষ্ট সময়ে নামাজ আদায় করা মোমিনের ওপর একান্ত অপরিহার্য।’ (সুরা নিসা : ১০৩)। তবে ভুল-ত্রুটি, নিদ্রা, শারীরিক অসুস্থতা ইত্যাদি কারণে মানুষের নামাজ কাজা হয়ে যেতে পারে, আর কারও কোনো নামাজ কাজা হয়ে গেলে তা মাফ হয়ে যায় না বরং স্মরণ হওয়ার পর সে নামাজের কাজা আদায় করে নিতে হয়।
বহু হাদিসে কাজা নামাজ আদায়ের গুরুত্ব বর্ণিত হয়েছে। এ সম্পর্কে হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যদি কোনো ব্যক্তি নামাজ আদায়ের কথা ভুলে যায় তাহলে যখন স্মরণ হয় তখন সে যেন তার কাজা আদায় করে নেয়, এছাড়া তার ওপর অন্য কোনো কাফফারা নেই। কারণ আল্লাহতায়ালা এরশাদ করেন, তোমরা আমার স্মরণের জন্য নামাজ কায়েম করো। (বোখারি : ৫৭২, মুসলিম : ১৫৯৮)।
অপর এক হাদিসে বর্ণিত আছে, হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো নামাজ আদায়ের কথা ভুলে যায় অথবা নামাজের সময় ঘুমিয়ে থাকে তাহলে তার কাফফারা হচ্ছে যখন স্মরণ হবে তখন কাজা আদায় করে নেয়া।’ (মুসলিম : ১৬০০)।
একইভাবে হজরত আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত, লোকেরা নামাজের কথা ভুলে ঘুমিয়ে থাকা সম্পর্কে যখন রাসুলুল্লাহ (সা.) কে জিজ্ঞেস করেন তখন তিনি উত্তরে বলেন, ‘নিদ্রার ক্ষেত্রে কোনো কঠোরতা নেই। কঠোরতা হলো জাগ্রত অবস্থায় নামাজ না পড়ার ক্ষেত্রে, তোমাদের কেউ যদি নামাজের কথা ভুলে যায় তাহলে সে যেন স্মরণ হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে কাজা আদায় করে নেয়।’ (তিরমিজি : ১৭৭)।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জেএম/আরএম