ইসলাম ডেস্ক: প্রকৃত পুণ্য ও মর্যাদার কাজ কোনটি তা নিয়ে চিন্তাগত দিক থেকে অবিশ্বাসীরা যে ভ্রান্তিতে নিপতিত ছিল, তা নিরসন করে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে যে, শিরকমিশ্রিত আমল তা যতই বড় হোক না কেন, তা আল্লাহর কাছে কবুলযোগ্য নয় এবং এর কোনো মূল্য নেই। সে কারণে কোনো মুশরিক মসজিদ রক্ষণাবেক্ষণ ও হাজীদের পানি সরবরাহ দ্বারা মুসলমানদের সমতুল্য ফজিলত ও মর্যাদা লাভ করতে পারে না। মুশরিকি ধ্যান-ধারণা সংশোধন করার সঙ্গে সঙ্গে মুসলিম সমাজে বিদ্যমান ভ্রান্ত ধারণার নিরসন হয়েছে এ আয়াতসমূহের মাধ্যমে।
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তা’য়ালা নিজেই বলেছেন তার কাছে সবচেয়ে মর্যাদাবান ব্যক্তি কে। আল্লাহর নিকট তো সেই লোকদের মর্যাদা অধিক যারা ঈমান এনেছে, দেশ ত্যাগ করেছে এবং আল্লাহর রাহে নিজদের মাল ও জান দিয়ে জেহাদ করেছে, তারাই সফলকাম। তাদের সুসংবাদ দিচ্ছেন তাদের পরওয়ারদিগার স্বীয় দয়া ও সন্তোষের এবং জান্নাতের, সেখানে তাদের জন্য রয়েছ চিরস্থায়ী সুখ ও শান্তি। সেখানে তারা চিরদিন থাকবে। নিঃসন্দেহে আল্লাহর কাছে রয়েছে মহাপুরস্কার।’ - সূরা তওবা : ১৯-২২
যেমন কোনো জিয়ারত কেন্দ্রের গদ্দীনশীন হওয়া বা খাদেম হওয়া। এই ধরনের প্রদর্শনীমূলক কতগুলো ধর্মীয় কাজকর্ম ও অনুষ্ঠান পালন দুনিয়ার স্থূল দৃষ্টিসম্পন্ন লোকেরা সাধারণত শ্রেষ্ঠত্ব লাভের জন্য করে থাকে। কিন্তু বাস্তবে আল্লাহর নিকট এ গুলোর কোনো মূল্য নেই।
প্রকৃত পক্ষে এ আয়াত চারটির মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, ইসলাম গ্রহণের পর অর্থাৎ মুসলমানদের জন্য ঈমান ও জেহাদের মর্যাদা সময় ও সুযোগ মতো কিছু ধর্মীয় অনুষ্ঠান জাঁকজমকের সঙ্গে পালন, মসজিদুল হারামের রক্ষণাবেক্ষণ, হাজীদের খেদমত ইত্যাদির চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মুমিনের প্রকৃত মর্যাদা রয়েছে ঈমান ও খোদার পথে ত্যাগ স্বীকারের মধ্যে।
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় সর্বোত্তম মর্যাদাবানদের পরিচয় নিরূপণ করতে গিয়ে আমরা বলতে পারি, ‘বাস্তব কথা এই যে, যারা নবীর সর্বোত্তম সংশ্রব গ্রহণ করার সৌভাগ্য লাভ করেছেন, তারাই হলেন সর্বোত্তম উম্মত।’
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জেএম/আরএম