ইসলাম ডেস্ক : গত সোমবার ১৩ই জুন সন্ধ্যায় ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সংস্কৃতি মন্ত্রী আলী জান্নাতি, কোরআন ও ইতরাত গাইডেন্স মন্ত্রী হুজ্জাতুল ইসলাম হেশমাতি এবং ইসফাহানের মেয়র রাসুল জার্গপুর উপস্থিতিতে ইরানের খ্যাতিমান খোদাই শিল্পী রেজা কাদেরান ও মোহাম্মদ আলী সায়েই, আলোকচিত্র মাজিদ সাদেকজাদেহ এবং ক্যালিগ্রাফার গোলামরেজা মাহুরিসহ বিখ্যাত শিল্পীরা গত ১৮ বছরের নিরলস পরিশ্রমে প্রস্তুতকৃত বিশ্বের সবচেয়ে সুসজ্জিত ও অলংকৃত কোরআন শরিফের আনুষ্ঠানিকভাবে মোড়ক উন্মোচন করেছেন।
এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্যোক্তা মেহেরদাদ জান ফাজা জানিয়েছেন, ইরানি শিল্পীদের আকর্ষণীয় ক্যালিগ্রাফি বা শৈল্পিক লিপি ও নক্সা থাকার কারণেই এই কোরআন বিশ্ব ইতিহাসে কোরআনের এক অনন্য ও সবচেয়ে ব্যয়বহুল সংস্করণ হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তিনি আরো জানান, কোরআনের কপি তৈরির এই প্রকল্প সম্পন্ন করতে ১৮ বছর সময় লেগেছে এবং এতে খরচ হয়েছে ৬০ বিলিয়ন রিয়াল বা ১৭ লাখ মার্কিন ডলার সমমূল্যের অর্থ (সাড়ে ১৩ কোটি টাকা)। কোরআনের এই অমূল্য সংস্করণটি তৈরির খরচ যুগিয়ে জানা-ফাজা’র পরিবার। এই কোরআনের প্রদর্শনীর আয় থেকে অর্জিত অর্থ দাতব্য খাতে এবং ইস্পাহানের একটি ইয়াতিমখানা নির্মাণের কাজে ব্যয় করা হবে।
ইস্ফাহানের জানফাজা পরিবার এই এককভাবে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছে। ওই পরিবারের বড় পুত্র মেহেদি জানফাজা এ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করেন। মেহেদি জানফাজা তার বাবার ইচ্ছা অনুযায়ী এই মহৎ কাজটি সম্পন্ন করেছেন বলে জানা যায়।
ইরানের খ্যাতিমান খোদাই শিল্পী রেজা কাদেরান ও মোহাম্মদ আলী সায়েই, আলোকচিত্রী মাজিদ সাদেকজাদেহ এবং ক্যালিগ্রাফার গোলামরেজা মাহুরিসহ বিখ্যাত শিল্পীরা গত ১৮ বছর ধরে কোরআনটির সংকলনে নিজেদের মেধা ও দক্ষতা ব্যয় করেছেন। কোরআনটির সংকলনে হাতে তৈরি সোনালি কাগজ ব্যবহার করা হয়েছে। এতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৪শ’ মণিমুক্তা। ৫৭ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য এবং ৪২ প্রন্থ আকারের এ পবিত্র কোরআনটির পৃষ্ঠা সংখ্যা ১৭৫টি। যার প্রতিটি পৃষ্ঠা আলাদাভাবে সুসজ্জিত ও অনন্য নকশায় উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে।
তেহরানের ২৪ তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রদর্শনী উপলক্ষে ইমাম খোমেনী গ্র্যান্ড প্রেয়ার গ্রাউন্ড বা মোসাল্লায় এই প্রদর্শনী শুরু হয়েছে ১৩ জুন এবং প্রদর্শনী চলতে থাকবে ২৯ জুন পর্যন্ত।
১৫ জুন, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই