ইসলাম ডেস্ক: মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের জন্য ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা আল্লাহ পাকের নির্দেষ মতো সব কাজ করে থাকেন। ফরয নামাজ আদায়ের পাশাপাশি অতিরিক্ত আমল হিসেবে অনেক মুসলমান জিকির আযগার কিংবা নফল নামাজ আদায় করে রাত কাটিয়ে দেন। আল্লাহর ভয়ে থাকা এই রূপ ব্যক্তিদের আল্লাহপাক নিশ্চয় জান্নাত দান করবেন। তবে আপনি যতই আমল করুন যদি তিনটি জিনেসে বিশ্বাস করেন তাহলে কখনোই আপনি জান্নাত পাবেন না।
মানুষের মধ্যে কিছু গুণ ও বৈশিষ্ট্য থাকলে তারা বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত প্রিয় নবী হজরত মুহম্মদ (সা.) ইরশাদ করেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে সত্তর হাজার লোক হিসাব-নিকাশ ব্যতিরেকেই বেহেশতে প্রবেশ করবে। তারা হলো, মন্ত্রতন্ত্র দ্বারা ঝাড়-ফুঁক করায় না, অশুভ লক্ষণাদিতে বিশ্বাস করে না এবং তারা শুধু তাদের প্রতিপালকের ওপর নির্ভর করে। (বোখারি ও মুসলিম)।
এই হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয়, যারা সুখে-দুঃখে সর্বাবস্থায় একমাত্র আল্লাহর ওপর আস্থা রাখে, অবিচল বিশ্বাস স্থাপন করে তারাই আল্লাহর প্রিয় বান্দা। এর দ্বারা আরও প্রমাণিত হয়, আমাদের সমাজে প্রচলিত জাদুবিদ্যা, মন্ত্রতন্ত্র, ঝাড়ফুঁক, কবিরাজি ইসলাম সমর্থন করে না। কারণ এতে নাজায়েজ অনেক কাজও হয়। আল্লাহর ওপর কোনো আস্থা থাকে না। থাকে কবিরাজের কারিশমা ও জাদুমন্ত্রের ওপর। তবে চিকিৎসা করা সুন্নত। কারণ, নবী করিম (সা.) নিজেও অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা করেছিলেন।
আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা রেখে জায়েজ উপায়ে যদি চিকিৎসা করা হয় তাতে কোনো সমস্যা নেই। পবিত্র কোরআন শরিফের কিছু আয়াত আছে যেগুলো পড়ে ফুঁ দিলে মানুষের উপকার হয়। হাদিস শরিফেও কিছু দোয়া বর্ণিত আছে যা চিকিৎসা সেবায় উপকারী। আল্লাহর ওপর পূর্ণ বিশ্বাস ও অবিচল আস্থাশীল বান্দাদের বিনা হিসাবে জান্নাতে যাওয়ার ব্যাপারে অন্য বর্ণনায় হাদিসটি দীর্ঘভাবে বর্ণিত হয়েছে।
২৬ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ