রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৪:০৯:০৭

কবরে অধিকাংশ লোক একটি কারণে বেশি শাস্তি ভোগ করবে

কবরে অধিকাংশ লোক একটি কারণে বেশি শাস্তি ভোগ করবে

ইসলাম ডেস্ক: যে ব্যক্তি দৈহিকভাবে পবিত্র থাকে না, তার মনও তাতে প্রভাবিত হয়। যে কারণে নামাজ আদায়ের জন্য অজু করতে হয়। নাপাক অবস্থা থেকে পাক হওয়ার জন্য মলমূত্র ত্যাগের পর সঠিকভাবে পরিচ্ছন্ন হওয়ার তাগিদ দেয়া হয়েছে। আধুনিক বিজ্ঞানও স্বীকার করেছে, যে মানুষ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে মানসিক দিক থেকেও সে অধিকতর সুস্থ থাকে। এমনকি শারীরিক সুস্থতার জন্যও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিকল্প নেই। একবার রাসুল (সা.) দুটি কবরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বললেন, ‘এ কবরবাসীদের শাস্তি দেয়া হচ্ছে অথচ তাদের কোনো বড় কাজের জন্য শাস্তি দেয়া হচ্ছে না। তাদের একজন চোগলখোরি করত, অপর ব্যক্তি প্রস্রাব থেকে পুরোপুরি পবিত্র হতো না।’ তিনি বলেন, ‘তোমরা প্রস্রাব থেকে পাক-পবিত্র থাক। কেননা অধিকাংশ কবরের আজাব এ জন্যই হয়ে থাকে।’

যে লোক প্রস্রাব থেকে শরীর ও পোশাক-পরিচ্ছদ পুরোপুরি পবিত্র করে না, তার নামাজ সহিহ হয় না। ইমানদার ব্যক্তিমাত্রই একজন পরিচ্ছন্ন মানুষ। একজন ইমানদার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাকে দৈনন্দিন জীবনযাত্রার অঙ্গীভূত করে এটি নিয়মিত পালন করেন। ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি কম করে হলেও প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের আগে পবিত্রতা অর্জনের জন্য অজু করেন। তিনি দৈনিক পাঁচবার অজু করার জন্য ১৫ বার হাত, পা, নাক, মুখ ও চোখ পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করেন। সময়মতো গোসল করেন। পোশাক-পরিচ্ছদ সব সময় ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার রাখেন। ইমানদার ব্যক্তির বসতবাড়ি ও ঘরের আঙিনা পরিচ্ছন্ন থাকে। তিনি মনে করেন, তাঁর সবকিছু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে উঠলে তার দেহ-মন-আত্মাও কলুষমুক্ত হয়ে যাবে। আর নির্মল আত্মা নিয়েই তিনি মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে পারবেন। মনোদৈহিক রোগ থেকে বেঁচে থাকার অন্যতম প্রধান চাবিকাঠি পবিত্র মন।

যার দেহ ও মন সজীব, রোগব্যাধি তাকে কখনো স্পর্শ করতে পারে না। সাধারণত দেহের যে অঙ্গগুলো অধিকাংশ সময় খোলা থাকে, অজুর বিধানে ওই সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে ধৌত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ওই অঙ্গগুলো দিয়ে মানবদেহে রোগজীবাণু প্রবেশের আশঙ্কা বেশি, তাই ওই অঙ্গ বারবার ধুলে জীবাণু আক্রমণ করার সুযোগ পায় না। রাসুল (সা.) ছিলেন পরিচ্ছন্নতার এক উজ্জ্বল প্রতীক। তার সব কাজকর্ম ছিল গোছানো। তিনি ঘরের সবকিছু পরিপাটি করে রাখতেন। সবার উচিত তার পথ অনুসরণ করা।
২৭ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে