ইসলাম ডেস্ক: আল্লাহ পাকের সবচেয়ে বড় ও সর্বশ্রেষ্ঠ নেয়ামত হলো ঈমান। ঈমান হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে বান্দার একটি চুক্তি। কোনোভাবেই এ চুক্তির খেলাফ করা যাবে না। আল্লাহ পাকে দেয়া সর্বশ্রেষ্ঠ নেয়ামত ঈমানকে আরো মজবুত করতে বেশি বেশি দরূদ শরীফ পাঠ করুন।
হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি দরূদ পাঠ মানুষের ঈমানি শক্তিকে বৃদ্ধি করে। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে কারিমের সূরা তীনের ৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহতায়ালা ঘোষণা করেন, ‘আমি মানুষকে সুন্দর আকৃতি দিয়ে সৃষ্টি করেছি।’ আঠারো হাজার সৃষ্টিজীবের মাঝে পবিত্র কোরআনে কারিমের ঘোষণা মতে মানুষ সবচেয়ে বেশি সুন্দর। আর সমস্ত মানুষের মাঝে সবচেয়ে সুন্দর শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৈহিক গঠন, জীবন ও চরিত্র। তিনি নবী ও রাসূলদের সর্বশ্রেষ্ঠ। ১০৪ খানা আসমানি কিতাবের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ পবিত্র কোরআনে কারিম হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর নাজিল হয়েছে। উম্মত হিসেবে এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের বিষয়।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে সম্মান প্রদর্শনের জন্য আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে কারিমে আমাদের প্রতি নির্দেশ প্রদান করেছেন। সূরা ফাতাহর ৮ ও ৯ নম্বর আয়াতে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘আমি তোমাকে (নবী) প্রেরণ করেছি সাক্ষীরূপে, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে। যাতে তোমরা আল্লাহ ও তার রাসূলের প্রতি ঈমান আন এবং তোমরা রাসূলকে শক্তি যোগাও তাকে সম্মান করো।’
সূরা আহজাবের ৫৬ নম্বর আয়াতে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘আল্লাহর নবীর প্রতি অনুগ্রহ করেন এবং তার ফেরেশতারাও নবীর জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা করে। হে মুমিনগণ! তোমরাও নবীর জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা করো ও তাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও।’
হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর অবতীর্ণ মহাগ্রন্থ কোরআনে কারিমে আল্লাহতায়ালা মাছ, গাছ, নদ-নদী, পাহাড়, সমুদ্র, ফল-ফলাদি, বিয়ে-শাদি, গর্ভধারণ ও সন্তান লালন-পালন থেকে শুরু করে এমন কোনো বিষয় নেই যার বর্ণনা কোরআনে নেই। সূরা কামারের ১৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি তোমাদের মধ্যে উপদেশ নেয়ার মতো কেউ কি আছে?’ সূরা আন নিসার ৮০ নম্বর আয়াতে ঘোষণা করা হয়েছে, যে হজরত রাসূল (সা.)-এর আনুগত্য করল সে আল্লাহর আনুগত্য করল।
২৭ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ