জামালপুর থেকে : কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতক রাজকুমারীর কপালে জুটল মায়ের বুকের দুধ। বর্তমানে মায়ের বুকের দুধ পান করছে রাজকুমারী। ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার শ্বাশনঘাটিতে।
অন্যদিকে নিঃসন্তান গৃহবধূর আজমেরিকে নিয়ে ঘটল এক অলৌকিক ঘটনা। নিঃসন্তান আজমেরির বুকে দুধ এসেছে, যেন সদ্যপ্রসূত এক মা। মনে হয় তিনিই এই সন্তান জন্ম দিয়েছেন।
নিঃসন্তান আজমেরি গত কয়েকদিন ধরে রাজকুমারীর পাশে অবস্থান করছেন। হাসপাতালের বেডে খাওয়া-দাওয়া ভুলে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন আজমেরি ও সুজন মিয়ার পরিবার।
নিঃসন্তান হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে বুকে দুধ থাকার কথা নয়, কিন্তু রাজকুমারীকে কাছে পেয়েই আজমেরি ফিরে পান মাতৃত্ব। বুকে দুধ আসতে শুরু করে। এমন ঘটনায় চিকিৎসকরাও হতবাক।
স্থানীয় চিকিৎসকরা বলছেন, এটি আল্লাহ প্রদত্ত অশেষ নেয়ামত। নিঃসন্তান হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে বুকে দুধ থাকার কথা নয়, কিন্তু অলৌকিকভাবে তার বুকে দুধ এসেছে। আজমেরি না থাকলে এতদিন হয়তো রাজকুমারীকে বাঁচানো সম্ভব হতো না।
গত শুক্রবার বকশীগঞ্জ পৌর এলাকার শ্বাশনঘাটিতে পাওয়া যায় এক নবজাতক। স্থানীয়রা নবজাতকটিকে উদ্ধার করে কাউন্সিলর রহিমা বেগমকে খবর দেন।
পরবর্তীতে বকশীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলামসহ স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আজমেরি ও সুমন মিয়ার হাতে কন্যা শিশুটিকে তুলে দেয়া হয়।
সাংবাদিকরা নবজাতকের নাম দেন রাজকুমারী। সেই থেকে রাজকুমারীকে দেখভাল করে আসছেন নিঃসন্তান আজমেরি ও সুমন মিয়া। পরবর্তীতে রাজকুমারীকে দত্তক হিসেবে পাওয়ার আশায় আদালতের দারস্থ হয়েছেন ফারহানা ইয়াসমিন রিপা ও পদ্মা ব্যাংকের কর্মকর্তা সামিউল হকের পরিবার।
আদালত উভয় পক্ষের শুনানি গ্রহণ করলেও রাজকুমারীকে নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেননি। পরে অধিকতর পর্যালোচনা ও সুষ্ঠু মীমাংসার জন্য নারী ও শিশু আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। ফলে এখন পর্যন্ত আইনগতভাবে ঝুলে রয়েছে রাজকুমারীর ভাগ্য।
আর এদিকে এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর মানুষের মধ্যও চর্চার বিষয় হয়ে গেছে। হাটে মাঠে ঘাটে এখন মানুষের চর্চার মূল বিষয় রাজকুমারী ও সুজন মিয়ার পরিবার।