মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৬, ১২:৪৪:১৯

দিনটি যেভাবে কেটেছে খালেদা জিয়ার

দিনটি যেভাবে কেটেছে খালেদা জিয়ার

নিউজ ডেস্ক : এবার জন্মদিনটি অন্যরকমভাবেই কাটল ৭১ বছরে পা দেওয়া বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার। গুলশান কার্যালয় কিংবা বাসা—কোথাও ছিল না নেতা-কর্মীদের সমাগম। কেক কিংবা ফুলের বাহারও দেখা যায়নি। সাধারণ দিনের মতোই সাদামাটাভাবে গতকাল কাটালেন বেগম জিয়া। অন্যবছর নিকটাত্মীয়রা ফুল আর কেক নিয়ে গুলশানের বাসভবনে যেতেন। সবাইকে নিয়ে কেকও কাটতেন তিনি।

দিনভর নিকটাত্মীয়দের তেমন  কেউই যাননি খালেদা জিয়ার ‘ফিরোজা’ বাসভবনে। তার ভাই মরহুম সাঈদ এস্কান্দারের স্ত্রী ও বড় বোন একবার বাসায় গেলেও কোনো ফুল বা কেক নিয়ে যাননি। কিছু সময় তারা থেকে দেখা-সাক্ষাৎ করে ফিরে যান। জাতীয় শোক দিবসে জন্মদিন উদযাপন না করতে আওয়ামী লীগ নেতাদের আহ্বানের প্রেক্ষাপটে এবার বন্যা এবং সরকারের নির্যাতন-নিপীড়নসহ জাতীয় সংকটের কারণ দেখিয়ে কেক কাটেননি খালেদা জিয়া।

অন্যবার মধ্যরাতে লন্ডন থেকে ফোনে বেগম জিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতেন পুত্র বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এবার তাও হয়নি। অবশ্য দুই দিন আগেই নেতা-কর্মীসহ সবাইকে আগেই নিষেধ করেছিলেন বেগম জিয়া। এবার কেক কাটবেন না। জন্মদিনে কোনো আনুষ্ঠানিকতা করবেন না। অবশ্য গতকাল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বেগম জিয়ার দীর্ঘায়ু কামনায় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।

ফিরোজা বাসভবনের এক স্টাফ জানান, অন্যদিনের মতো স্বাভাবিক খাবার খেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। বিশেষ দিন উপলক্ষে পায়েশ বা অন্য কিছুর আয়োজন ছিল না। এদিকে, কেক না কেটে মিলাদ ও বিশেষ দোয়ার মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন করেছে বিএনপি। গতকাল বিকালে নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দোয়া মাহফিলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কয়েকশ নেতা-কর্মী অংশ নেন। মিলাদের পর মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, চেয়ারপারসন এবার তার জন্মদিনের অনুষ্ঠান বাতিল করেছেন।

দেশের বর্তমান অবস্থা, রাজনৈতিক-সামাজিক এবং বন্যার কারণে যে অবস্থা তৈরি হয়েছে, সে কারণে তিনি মনে করেছেন, জন্মদিনের কোনো অনুষ্ঠান পালন করা সমীচীন নয়। আজকে তার দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া করেছি। দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছি। সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনা করেছি। আরাফাত রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনা করেছি। দোয়া পরিচালনা করেন জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক শাহ  নেসারুল হক। মির্জা ফখরুল বলেন, বন্যার্তদের দুর্ভোগ লাঘবের জন্যও আমরা দোয়া করেছি। দেশের শান্তি-সমৃদ্ধির পাশাপাশি গণতন্ত্র ফিরে আসার জন?্য দোয়া করছি।

অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, শামসুজ্জামান ?দুদু, মো. শাহজাহান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, নাজিম উদ্দিন আলম, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, নুর-ই আরা সাফা, শিরিন সুলতানা, বিলকিস জাহান শিরিন, ফুটবলার আমিনুল ইসলাম প্রমুখ মিলাদে অংশ নেন। এদিকে, চট্টগ্রামে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের নেতৃত্বে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়। সেখানে ব্যারিস্টার মীর হেলালসহ নেতা-কর্মীদের অংশ নিতে দেখা যায়।
১৬ আগস্ট ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস‌‌‌‌

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে