বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৯:১১:২৭

বিএনপির মহাসচিব ঘোষণা গুঞ্জন!

বিএনপির মহাসচিব ঘোষণা গুঞ্জন!

নিউজ ডেস্ক : দেশে নেই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।  দীর্ঘদিন ধরে দেশের বাইরে বিএনপির সেকেন্ড-ইন কমান্ড তারেক রহমান।  দলটি চলে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্টের পরামর্শক্রমে।  যদিও দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম।  

দীর্ঘদিন ধরে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্বে থেকে দলের শক্তিশালী অবস্থান সৃষ্টি করতে পারেননি তিনি- এমন আলোচনা নিজ দলীয় পর্যায়ে।  যার ফলে দশম নির্বাচনের আগে ও পরে আন্দোলনে সুবিধা করতে পারেনি বিএনপি।  গুঞ্জন রয়েছে দলটির মহাসচিব রদবদলের।  তবে আদৌ সম্ভব কিনা তা চেয়ারপারসনই ভালো জানেন।  অবশ্য লন্ডন থেকে দেশে ফিরে পুর্ণাঙ্গ মহাসচিব ঘোষণা করতে পারেন তিনি।

যদিও পরবর্তী মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরই এমন আশাবাদ অনেকের।  তবে পদটি ঘিরে কয়েক সিনিয়র নেতার আগ্রহ থাকলেও তার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।   শোনা যাচ্ছে, মির্জা ফখরুলকে ভারমুক্ত করতে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব ঐকমত্যে পৌঁছেছে।  খালেদা জিয়া দেশে ফিরেই তাকে পূর্ণাঙ্গ মহাসচিব ঘোষণা করতে পারেন।

অবশ্য মহাসচিব হিসেবে দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এম তরিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, সাদেক হোসেন খোকা, হাফিজ উদ্দিন আহমদ বা যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদের নাম আলোচনায় এসেছে।  আলোচনায় আসলেও পদটিতে মির্জা ফখরুল ইসলামই থাকছেন এমন বিশ্বাস সবার।

উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে থাকায় রাজনীতিতে ফখরুলের অনুপস্থিতিতে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের অপর সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হান্নান শাহ’র নাম শোনা যায়।  বিভিন্ন সভা-সমাবেশে তার বক্তব্য দলের নেতাকর্মীদের সাহস যুগিয়েছে।  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিএনপির পরবর্তী মহাসচিব নিয়ে আলোচনায় তিনি।

অবশ্য মির্জা ফখরুল চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার পর শোনা গেছে, তিনি নাকি গ্রিন সিগন্যাল নিয়েই দেশে ফিরেছেন।  মির্জা ফখরুলকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরে নজরুল ইসলাম খান, আব্দুল্লাহ আল নোমান, দলটির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপনসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে দেখা গেছে।

অবশ্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ঘোষণা করায় দলের অনেক সিনিয়র নেতা অসন্তুষ্ট ছিলেন।  তাতে সিনিয়র নেতাদের কাঙ্ক্ষিত সহযোগিতা পাননি মির্জা ফখরুল।  সাংগঠনিকভাবেও পরিপক্কতা দেখাতে পারেননি তিনি।  অবশ্য রাজনীতিতে পরিচ্ছন্ন নেতা হিসেবে পরিচিতি রয়েছে তার।  

দলের অনেকের দাবি, বিএনপির মতো একটি বড় দলে মহাসচিব না থাকাটা দুর্ভাগ্য।  ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব দিয়ে এত বড় একটা দল চালানো চারটেখানি কথা নয়।  ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসেবে যিনি দায়িত্ব পালন করছেন তিনি সিনিয়র নেতাদের কাঙ্ক্ষিত সহযোগিতা পাচ্ছেন না।  ফলে বিএনপিতে দেখা দিয়েছে সাংগঠনিক দুর্বলতা।  এই দুর্বলতার কারণে আন্দোলনেও মাত্রা পাচ্ছে না।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১৬ মার্চ বিএনপির মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
৩০ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে