নিউজ ডেস্ক : শুক্রবার থেকে আর কোনও হজ ফ্লাইট বাতিল হবে না বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ৬৯ হাজার ৪৫১ জন হজ যাত্রীর ভিসা হয়ে গেছে। তাই তাদের দ্রুত টিকিট সংগ্রহ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিমান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
রাশেদ খান মেনন বলেন, সিস্টেমগত কারণে কিছু হজ ফ্লাইটে কিছুটা জটিলতা তৈরি হয়েছিল। যেমন এবারই প্রথম অন লাইনে নিবন্ধন, টিকিটিং এবং বাড়ি ভাড়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়েছে। যে বিষয়টির সঙ্গে বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের অনেকেই অভিজ্ঞ নন। ফলে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা সব সমস্যার সমাধান করেছি।
তিনি আরও বলেন, যে আটটি হজ ফ্লাইট বাতিল হয়েছে তা পুষিয়ে নেওয়ার জন্য প্রতি বিমানে একশ অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের জন্য বড় বিমানের ব্যবস্থা করেছি। একই সঙ্গে জেদ্দা এয়ারপোর্টে আরও কিছু স্লট বুকিং দেওযার জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছেও আবেদন করেছি। কাজেই সংশয়ের কিছু নেই। আমাদের ওপর আস্থা রাখুন। এবছর কোনও হাজি কোনও ধরনের জটিলতায় বাংলাদেশের পড়ে থাকবে না বা তার হজ যাত্রা বাতিল হবে না।
সৌদি বিমানের হজ ফ্লাইট বাতিল হলো না কিন্তু বাংলাদেশ বিমান বাতিল হলো কে? সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সৌদি বিমানে টিকিং বুকিংয়ের সময় ৮০ শতাংশ টাকা পরিশোধ করতে হয়। যা বাংলাদেশ বিমানে করা হয় না। এই সুযোগে বাংলাদেশ বিমানের অনেক যাত্রী নির্দিষ্ট ফ্লাইট বাতিল করে অন্য ফ্লাইটে যাওয়ার আবেদন করে বা যায়। এজন্য সঠিক সময়ে ফ্লাইট ছাড়া সম্ভব হয় না। আর সৌদি বিমানে বুকিং বাতিল করলে টাকা ফেরত দেওয়া হয় না। তাই তারা সঠিক সময়ে ফ্লাইট ছাড়তে পারে।
তিনি আরও বলেন, এ বছর হাজি পুনঃস্থাপনে যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল তা ইতোমধ্যেই কেটে গেছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- ধর্মমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বিএইচ হারুন, ধর্ম সচিব আব্দুল জলিল, বিমান সচিব এএসএম গোলাম ফারুক, হাবের সভাপতি ইব্রাহীম বাহার প্রমুখ।
১৮ আগস্ট, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম