নিউজ ডেস্ক : দলভিত্তিক সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হতে ৩০০ ভোটারের সমর্থনযুক্ত তালিকা দেওয়ার বিধান রেখে খসড়া বিধিমালা চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সেই সঙ্গে স্পিকার, মন্ত্রী ও সমমর্যাদার ব্যক্তি, সংসদ সদস্য ও অন্য সিটি মেয়রদের নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা রেখে আচরণবিধিও চূড়ান্ত করা হয়েছে।
আসন্ন সিটি নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন বিধিমালা ও আচরণবিধিতে আইনের আলোকে সংশোধন আনতেই এ উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি। মেয়র পদে দলীয় নির্বাচনের বিষয়ে সর্বশেষ গত নভেম্বরে আইন সংশোধন করা হয়।
বৃহস্পতিবার ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, দলভিত্তিক প্রথম সিটি নির্বাচন করতে বিধিতে সংশোধনী আনা হচ্ছে। দলের প্রত্যয়নে দলীয় মনোনয়ন নিতে হবে, স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে ৩০০ ভোটারের সমর্থনযুক্ত তালিকা জমা দিতে হবে প্রার্থীকে। এ সংক্রান্ত অনুমোদন কমিশন দিয়েছে। এখন আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য তা পাঠানো হবে।
আচরণবিধির সংশোধনেও সম্মতি এসেছে কমিশন থেকে। এক্ষেত্রে নানা নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রচারে যেতে পারবেন না মন্ত্রী ও সমমর্যাদার ব্যক্তি, সাংসদ এবং অন্য সিটির মেয়ররাও।
দলভিত্তিক পৌরসভা নির্বাচনের আচরণবিধির মতোই সিটির বিধি হবে বলে জানান ইসি সচিব। তিনি বলেন, আমরা খসড়া চূড়ান্ত করেছি। মন্ত্রণালয় ভেটিংয়ে মতামত দিতে পারে। আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেই তা গেজেট করা হবে। গেজেট হওয়ার পর তফসিল ঘোষণা করা যাবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটারের ১ শতাংশ সমর্থন তালিকা দিতে হয়।
স্থানীয় সরকারের সিটি, উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ভোট দলীয়ভাবে করতে গত বছরের নভেম্বরে বিল পাস হয়। এরপর ডিসেম্বরে পৌরসভা ও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি-জুনে দলীয়ভাবে ইউপি ভোট হয়।
দলভিত্তিক পৌর মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ১০০ ভোটারের সমর্থন লেগেছে। ইউডিতে কোনো শর্তারোপ করা হয়নি চেয়ারম্যানে পদে স্বতন্ত্র প্রার্থিতায়।
সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে বিধি সংশোধন কাজ শেষ করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষে নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হাত দিতে চায় ইসি।
স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা শেষে তফসিল করে ডিসেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধকে ভোটের উপযুক্ত সময় বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। -বিডিনিউজ
১৮ আগস্ট, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম