ঢাকা : বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে বিজ্ঞ আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ‘জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া’ নামে নতুন কমিটি করা হয়েছে।
স্বচ্ছ ভোটের মাধ্যমে সরকার প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্রের ভিত্তি মজবুত করা এবং রাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিরপেক্ষভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে এ কমিটি করা হয়।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ‘জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া’র ঘোষণা দেয়া হয়।
কমিটির আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। সদস্য সচিব করা হয়েছে আ ব ম মোস্তফা আমীনকে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন অধ্যাপক অজয় রায়, প্রকৌশলী শেখ মো. শহীদুল্লাহ, জিএম কাদের, মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, এসএম আকরাম, সুলতান মো. মনসুর আহমদ, শহীদ ডা. মিলনের মা সেলিনা আক্তার।
সংবাদ সম্মেলনে কমিটির নাম ঘোষণা করেন শেখ মো. শহীদুল্লাহ। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আ ব ম মুস্তাফা আমিন।
সংবাদ সম্মেলনে ১৪ দফা প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
এর মধ্যে রয়েছে স্বচ্ছ নির্বাচন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা, সামাজিক বৈষম্য দূর করা, সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করে নিরাপত্তা জোরদার এবং সর্বোপরি জনগণই যেসব ক্ষমতার উৎস-সেটা নিশ্চিত করা প্রভৃতি।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দেশে বিরাজমান ভোটাধিকার, গণতন্ত্র, আইনশৃঙ্খলা বিশেষ করে জঙ্গিবাদের উত্থান, ব্লগার, ধর্মগুরু, সংখ্যালঘু, বিদেশি হত্যা, গুম, সামাজিক-রাজনৈতিক, বৈষম্য, দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে দেশের জনগণ পুরোপুরি অবহিত এবং সবাই এ অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির অবসান চায়।
এতে বলা হয়, বিরাজমান অনভিপ্রেত পরিস্থিতি থেকে মুক্তির লক্ষ্যে দরকার দেশপ্রেমিক জনগণের মধ্যে বিদ্যমান ঐক্যকে সাংগঠনিক শক্তিতে রূপান্তরিত করা।
আগামী নভেম্বরে সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে একটি নাগরিক সংলাপের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, যে কেউ তাদের সংলাপে অংশ নিতে পারবেন ও মতামত প্রকাশ করতে পারবেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, এটি হবে একটি অরাজনৈতিক জোট। এ বছর নভেম্বরে ঢাকায় সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে একটি নাগরিক সংলাপের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এ সংলাপে যোগ দেয়ার জন্য দেশের সচেতন সর্বস্তরের নাগরিকদের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সদস্য সচিব আ ব ম মোস্তফা আমীন জানান, সদস্য সংযোজনের মাধ্যমে কমিটির কলেবর বৃদ্ধি করা হবে। সাংগঠনিক বিভিন্ন সাব-কমিটি গঠনসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিশেষজ্ঞ কমিটি করা হবে।
তিনি বলেন, বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করতে রাজনৈতিক দল, শ্রেণি-পেশা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধি সমন্বয়ে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হবে। জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, জিএম কাদের, এসএম আকরাম, সুলতান মুহম্মদ মনসুর আহমেদ, সেলিনা আক্তার প্রমুখ।
২০আগস্ট, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম