নিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক দিলীপ রায়কে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবি উঠেছে। বহিষ্কারের দাবিতে আজ মিছিলও করেছে রাবি শাখা ছাত্রলীগ।
ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেয়ার অভিযোগে রোববার সকালেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এরপর রোববার বিকেলের দিকেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাঞ্জুর করা মামলায় দিলীপকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
তবে এখনও তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়নি বলে জানান মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর। তিনি জানান, তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা হয়েছে দিলীপ রায়ের বিরুদ্ধে।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার যে সংবাদ সম্মেলন করেন তা নিয়ে ফেসবুকে রোববার সকালে একটি মন্তব্য পোস্ট করেন দিলীপ রায়।
আর তাঁর এই পোস্টটিতেই বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। তারা দিলীপ রায়কে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে আজ মিছিলও করেছে ক্যাম্পাসে।
অন্যদিকে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৈত্রী সংগঠনও তাদের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ রায়কে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে মিছিল করেছে।
ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি প্রদীপ মার্দি বলেন, "সাধারণ একটা প্রতিক্রিয়ামূলক মন্তব্য করায় দিলীপ রায়কে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে। মামলা করা হয়েছে পরে। আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাব"।
মার্দি বলেন, "গণতান্ত্রিক একটা দেশে সরকারের সমালোচনা করার অধিকার সব মানুষের আছে। রামপাল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পর বাংলাদেশের সব মানুষই তাদের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছিল, সেখোনে দিলীপ রায়ের ফেসবুক মন্তব্য কিভাবে আপত্তিকর হয়ে উঠলো সেটা আমরা বুঝতে পারছি না। সেতো কোন কটূক্তিমূলক মন্তব্য করেনি।সরকারের নীতি নিয়ে কি গণতান্ত্রিক দেশের মানুষ সমালোচনাও করতে পারবে না?"
এখানে উল্লেখ্য শনিবার রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনের পর সেটা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমেও।
পরিবেশবাদীরা রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন কয়েক বছর ধরে, কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎ প্রকল্প সুন্দরবন ধ্বংস করে দেবে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এখনও পুলিশের হেফাজতে আছেন দিলীপ রায়। মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোন তথ্যপ্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। তথ্য পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। -বিবিসি বাংলা
২৯ আগস্ট, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম