এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চাইছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও চাইছে দ্রুত সময় সংস্কার শেষে সুষ্ঠু নির্বাচন। এদিকে আলোচনায়, আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি-না।
এ ছাড়া রাজনৈতিকদলগুলোর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে মামলা রয়েছে, এসব মামলার আসামি বা সাজাপ্রাপ্তরা আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি-না?
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার জানিয়েছেন, গুম, খুন ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে না। এটি সব দলের প্রার্থীর জন্য প্রযোজ্য হবে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে নয়, নির্বাচনী অঙ্গনকে দুর্নীতিমুক্ত করতেই নির্বাচন ব্যবস্থায় সংস্কার প্রস্তাব করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা কোনো দলকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার পক্ষে না।
তবে যারা আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে খুনের মতো গুরুতর অপরাধ করেছে; জনগণ চায় না তারা ক্ষমতায় আসুক। বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল বা বিচারিক আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে এমন কেউ যেন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেই সুপারিশ করা হয়েছে।
নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ৪ মাসের মধ্যে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন সম্ভব। নির্বাচনে পোস্টার ব্যবহার না করার সুপারিশ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
১৫ জানুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে নির্বাচন সংস্কার কমিশন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো আসনে ৪০ শতাংশের কম ভোট পড়লে সেই আসনে আবারও নির্বাচন হবে। এ ছাড়া ‘না’ ভোটের বিধানও ফিরছে। ‘না’ ভোটের সংখ্যা বেশি হলে ওই আসনে পরাজিত প্রার্থীরা পরবর্তী নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রধান আইন ‘দ্য রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল অর্ডার (আরপিও)’ বা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে এ ধরনের বিধান যুক্ত করার সুপারিশসহ মোট ১৮টি বিষয়ে ১৫০টির মতো সুপারিশ জানানো হয়েছে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে।