গোলাম মোর্তজা : বাংলাদেশে গরু আসা বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। খুব কম সংখ্যক গরু এখন আসে,যা না আসলেও সমস্যা নেই। গরুর মাংসের দাম একটু বেড়েছে। এই সময়ে বাংলাদেশে গরু পালনও কয়েক গুণ বেড়েছে।
কোরবানির ঈদে গরুর চাহিদার পুরোটাই বাংলাদেশি গরু দিয়ে পুরণ হবে। দেশীয় গরু পালনকারীরা ভালো দাম পাবে। আগামী এক দুই বছরের মধ্যে গরু পালনে সম্পূর্ণ স্বয়ংসম্পূর্ণ ( এখনও প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ )হয়ে যাবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মানুষের গরু আনতে ভারতে যেতে হবে না, বিএসএফ 'র গুলিতে মরতেও হবে না।
এখন আগামী কয়েকদিন বিএসএফ হাজার হাজার গরু ঢুকতে দিবে বাংলাদেশে। গত বছরের অভিজ্ঞতা এবং যে খবর পাচ্ছি, তার ভিত্তিতে বলছি। গরু আসতে দেয়া, বন্ধ করা -সবই বিএসএফ করে।
শুধু দেশপ্রেমিক সার্টিফিকেট ধারণ করলে হবে না, এখন তা প্রমাণ করার দায়িত্ব বিজিবি'র। প্রয়োজনে সীমান্তে বিজিবি'র ক্ষমতা বৃদ্ধি করেন। গরু আসা বন্ধ করতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করেন। আপনাদের কাছে মারণাস্ত্র আছে, তা অনেকবার বলেছেন, দেশের ভেতরে প্রয়োগও করেছেন। এবার সীমান্তে তা ব্যবহার করে গরু আসা বন্ধ করেন। মারণাস্ত্র মানেই গুলি করে মানুষ হত্যা করতে হবে, ভারতীয় হত্যা করতে হবে -তা বোঝাচ্ছি না।
দেশীয় গরু ব্যবসায়িদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্যে প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগের কথা বলছি। বিএসএফ'র মত গুলি করে মানুষ হত্যা করা ছাড়াও, শক্তি প্রয়োগ করার পদ্ধতি আপনাদের জানা আছে। সেটা প্রয়োগ করেন।তাহলে বিএসএফ গরু পাঠাতে চাইলেও গরু বাংলাদেশে ঢুকতে পারবে না। আগামী কয়েকটি দিনও যদি তা করতে পারেন, সেটা হবে দেশপ্রেমের অনেক বড় প্রমাণ। বাংলাদেশ শুধু গুরু পালনে স্বয়ংসম্পূর্ণই হবে না, গরুর মাংশ রপ্তানি করতে পারবে।
লেখক : সাংবাদিক (ফেসবুক থেকে)
৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি