নিউজ ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় হামলার পরদিনই মিরপুরের রূপনগরে মেজর মুরাদকে ধরতে অভিযান চালায় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সদস্যরা। তবে সেদিন তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। সে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। এরপরই বাসা ছাড়ার পরিকল্পনা করে মুরাদ।
গতকাল শুক্রবার মালপত্র নিতে আবার ওই বাড়িতে আসে মুরাদ। আর সেই তথ্য পুলিশকে জানিয়ে দেন বাড়ির মালিক। এরপরই সেখানে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর আবাসিক এলাকার ৩৩ নম্বর সড়কের ৩৪ নম্বর বাসায় একটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছে নব্য জেএমবির প্রশিক্ষক কথিত মেজর মুরাদ। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এ অভিযান শুরু হয় এবং গভীর রাতে শেষ হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পিস্তল দিয়ে গুলি করতে করতে এবং চার পুলিশ সদস্যকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে মুরাদ। এতে চার পুলিশ সদস্য আহত হন।
ছানোয়ার হোসেন জানান, পাইকপাড়ার অভিযানের পরদিনই রূপনগরে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু মেজর মুরাদ আগেই ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ বাড়িওয়ালাকে বলে আসে, মুরাদ আবার আসলে তিনি যেন পুলিশকে তা জানান। শুক্রবার মুরাদ ঘরের মালপত্র নিতে আসে। এ সময় বাড়িওয়ালা স্থানীয় পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ আসলে মুরাদ তাদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এতে পুলিশের চার কর্মকর্তা আহত হন। পরে পুলিশের অভিযানে মেজর মুরাদ নিহত হয়।
ছানোয়ার হোসেন আরও জানান, মেজর মুরাদ ছিলেন গুলশান হামলার মাস্টারমাইন্ড জঙ্গি তামিম চৌধুরীর সেকেন্ড ইন কমান্ড। গত জুলাই মাসে সে বাসাটি ভাড়া নিয়েছিল।
০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/সৈকত/এমএম