নিউজ ডেস্ক : মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। আজ শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় গাজীপুর কাশিমপুর-২ কারাগারে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে তাকে ২০ মিনিট ঝুলিয়ে রাখা হয়। জেলার নাশির আহমেদ কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মীর কাসেম আলীর লাশ মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার চালা গ্রামে দাফনের জন্য আনা হতে পারে জানিয়েছেন মানিকগঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন। তার দাফনের জন্য সব প্রস্তুতিও এরই মধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
এদিকে কাসেম অালীর লাশ মাকিগঞ্জে আনা হচ্ছে, এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যার পর থেকে ঢাকা-আরিচা মহা সড়ক ফাঁকা হয়ে গেছে। থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে পুরো হরিরামপুরে। মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার চালা গ্রামে নিজ বাড়ির পার্শ্ববর্তী পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
ঢাকা আরিচা মহাসড়কের মন্নু গিলন্ড নামক দায়িত্ব পালন করা পুলিশ কমকতা এসআই রেদওয়ান জানান, শুক্রবার রাতেও মহাসড়কে টহল দিয়েছি, যানবাহন স্বাভাবিক ছিল, কিন্তু শনিবার সন্ধ্যা থেকেই এ মহাসড়কে যানবাহনের সংখা কমে গেছে।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জের গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল আলম জানান, শনিবার সন্ধ্যা থেকেই ঢাকা আরিচা মহাসড়কে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, যুদ্ধঅপরাধী মীর কাশেম আলীর ফাসি কার্যক্রর করার পর তার মরদেহ মানিকগঞ্জে নিয়ে আসা হবে এমন খবর শোনার পর থেকেই মহাসড়ক ফাঁকা হয়ে গেছে। স্থানীয় মানুষ খুব প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
মীর কাসেমের দাফন নির্বিঘ্ন করতে মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে পুলিশের নিরাপত্তা চৌকি। মানিকগঞ্জ শহর থেকে হরিরামপুরের চালা পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার রাস্তার প্রতিটি বাঁকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।
মানিকগঞ্জে মীর কাসেম আলীর কবর খোঁড়ার কাজ করছেন চালা ইউনিয়নের সাকুচিয়া গ্রামের মৃত. কছিম উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে সামেজ উদ্দিন বিশ্বাস (৭০)।
মীর কাসেমের নিজ অর্থায়নে নির্মিত মসজিদের উত্তর পাশে লেবু বাগান আর বাঁশ ঝাড়ের কাছেই সমাহিত করা হচ্ছে তাকে। বাঁশ কাটা হচ্ছে, আনা হয়েছে তালাই বাঁশ।
সেখানকার আশপাশের মানুষের আনাগোনা সীমিত করে দেয়া হয়েছে। পুরো এলাকাটি পুলিশ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। বিশেষ কাজ ছাড়া লোকজনের বাড়ির বাইরে যাওয়ার ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, মীর কাসেম আলীর লাশের সঙ্গে তার দুই মেয়ে যেতে পারেন।
হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, মীর কাসেম আলীর লাশ দাফনে যাতে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয় সে জন্য ব্যাপক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
৩ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম