নিউজ ডেস্ক : মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মীর কাসেম আলী কাশিমপুর কারাগারে শনিবার বিকেলে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেষ সাক্ষাৎকালে মীর কাসেম আলী কান্নায় ভেঙে পড়েন বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন।
স্বামীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর মীর কাসেম স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন জানান, ওনার মনে অনেক দুঃখ রয়ে গেল যেটা ‘উনি কোন কিছু নিয়েই কোন কষ্ট পাননি, কিন্তু ছেলের ব্যাপারটা নিয়ে উনি কেঁদে দিয়েছেন।’
আয়েশা খাতুন বলেন, ‘উনি বলেছেন ছেলে ফার্স্ট টু লাস্ট মামলার সমস্ত কাজ করেছে, কিন্তু শেষ মুহূর্ত সে তার বাবাকেও দেখতে পারলো না, শেষ রিভিউটাও করতে পারলো না- এ কথা বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন।’
তিনি বলেন, ‘মীর কাসেম বলেছেন, ‘আমি জান্নাতে যাচ্ছি। তোমরা প্রস্তুত থেকো। আমি জান্নাতে গিয়ে তোমাদের জান্নাতে নেওয়ার ব্যবস্থা করছি।’
খন্দকার আয়েশা খাতুন জানান, এ সরকারের আমলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করে লাভ নেই। প্রাণভিক্ষা চাইলেও তা পাওয়া যেত না। এ কারণে তিনি তা চাননি।
এর আগে মীর কাসেমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার পরিবারের ৪৩ সদস্য কারাগারে যান। চার দফায় ৩৮ জনকে তার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেন কারা কর্তৃপক্ষ।
বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ছয়টি মাইক্রোবাসে করে তারা কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর ফটকে পৌঁছেন। এর পাঁচ মিনিট পর কারা কর্তৃপক্ষ সবাইকে কারাগারের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেন।
৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি