নিউজ ডেস্ক : একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার খবর বেশ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সব সংবাদমাধ্যম।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, মুক্তিযুদ্ধের সময়, হত্যা, নির্যাতন ও ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো সহ অন্যান্য জঘন্য অপরাধ সংঘটনের দায়ে জামায়াতে ইসলামী দলের মূল আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতাকারী মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ফাঁসি কার্যকর হওয়ার খবরের পর শত শত উল্লসিত মানুষ রাজপথে নেমে আসে। তারা ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা মীর কাসেমকে জামায়াতের বিশিষ্ট নেতা উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদন করে । যেখানে বলা হয়, বাংলাদেশে ‘সম্পদশালী ধনকুবের’ ও সবচেয়ে বড় ইসলামী দলের অর্থ যোগানদাতাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে।
অন্যদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইসলামপন্থি দলের অর্থদাতা ও নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় বলা হয়, ‘ইসলামিস্ট হ্যাংগড ফর অ্যাটরোসিটিস কমিটেড ইন বাংলাদেশ ওয়ার।’ অর্থাৎ ‘যুদ্ধাপরাধের দায়ে বাংলাদেশে ইসলামি নেতার ফাঁসি।’ প্রতিবেদনে তারা জানায়, মীর কাসেম আলীকে ১৯৭১ সালে সংঘটিত হত্যা, নির্যাতনসহ অন্যান্য অপকর্ম সংঘটনের অপরাধে ফাঁসি দেয়া হয়।
ব্রিটেনের আরেক সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট শিরোনাম করে, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে বিরোধে যুদ্ধাপরাধের দায়ে বাংলাদেশে বর্ষীয়ান ইসলামি নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু খবর করে, ‘জামায়াত নেতা মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলো বাংলাদেশ’।
সেখানে আরও বলা হয়, মীর কাসেম কুখ্যাত মিলিশিয়া আল বদর বাহিনীর নেতা ছিলেন। তার নেতৃত্বাধীন আল বদর বাহিনী বন্দর নগরী চট্টগ্রামে আল বদর বাহিনীর সহযোগী হিসেবে কাজ করে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন এও গুরুত্বের সঙ্গে ছাপা হয় মীর কাসেম আলীর ফাঁসির খবর। তাদের শিরোনাম ছিল ‘যুদ্ধাপরাধে’ আরেক জামায়াত নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল বাংলাদেশ।
০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম