নিউজ ডেস্ক : একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় মর্মাহত হয়েছে তুরস্ক। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে
এর আগে মীর কাসেমের ফাঁসি কার্যকর করায় পাকিস্তান গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছে বলে বিবৃতি দেয়।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মীর কাসেম আলীকে জামায়াতে ইসলামীর প্রধান অর্থ জোগানদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, আমরা (তুরস্ক) দুঃখের সঙ্গে জানতে পেরেছি জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাশেম আলীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের জারি করা মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
আমরা আবারো জোর দিয়ে বলছি যে, এ পদ্ধতিতে অতীতের ক্ষত সারানো যাবে না এবং আমরা আশা করি এই ভুল চর্চা বাংলাদেশের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের মধ্যে বিভেদ বাড়াবে না।
গতকাল শনিবার রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে মীর কাসেমের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এরপরই বিবৃতি দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৭১-এর ডিসেম্বরের আগে সংঘটিত ‘কথিত’ অপরাধের অভিযোগে ‘ত্রুটিপূর্ণ বিচার’ প্রক্রিয়ায় মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করায় পাকিস্তান গভীরভাবে মর্মাহত।
বিবৃতিতে মীর কাসেমের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনাও জানানো হয়েছে। পাকিস্তানের বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত সামিনা মেহতাবকে আজ তলব করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পাকিস্তানের বিবৃতির প্রতিবাদে কড়া বার্তা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
মানবতাবিরোধী অপরাধে মীর কাসেমসহ এ পর্যন্ত ৬ জনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।
৪ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম