নিউজ ডেস্ক : শনিবার রাতে রারধানীর আজিমপুরে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক। আহত পুলিশ সদস্য ও আহত নারী জঙ্গিদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন আইজিপি।
পরে হাসপাতলে থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, ‘নিহতের নাম আবুদল করিম। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার যে বাসায় জঙ্গিরা আশ্রয় নিয়েছিল, সেটিও এই করিমই জঙ্গিদের জন্য ভাড়া করেছিল। গুলশানের হামলাকারীদের সঙ্গেও সে ছিল।’
আইজিপি বলেন, ‘ এটা ছিল জঙ্গিবাদবিরোধী নিয়মিত অভিযান। মুরাদের (মেজর জাহিদ) স্ত্রীসহ নারী জঙ্গি পরিবার আজিমপুরে লুকিয়ে আছে বলে পুলিশের কাছে তথ্য ছিল। এ তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। দরজায় নক করার পর ভেতর থেকে একজন পুরুষ ও এক নারী একযোগে ছুরি, বোমা, মরিচের গুঁড়া নিয়ে দরজা খুলেই আক্রমণ করে। এতে পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশও পাল্টা প্রতিরোধ করে। এতে ঘটনাস্থলেই করিম মারা যায়।’
আইজিপি আরও জানান, ‘অভিযানের মধ্যেই একটি ছেলে ও দুটি মেয়ে শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে।। তাদের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে। এদের বাবা মা কারা তা জানা যায়নি। আস্তানা থেকে চারটা পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।’
আইজিপি হাসপাতালে এসে আহত পুলিশ সদস্য বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে একজনের অবস্থা একটু ক্রিটিকাল। বাকি চারজন আশঙ্কামুক্ত।’
আহত নারী জঙ্গিদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নারী জঙ্গিরা কথা বলতে পারছেন। চিকিৎসক জানিয়েছেন তারা আশঙ্কামুক্ত। তবে জিজ্ঞাসাবাদ করে কোনও তথ্য নেওয়ার উপযুক্ত নয়।’
নারী জঙ্গিদের নিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘তারা নিজেরা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বোধহয়।’ আহতদের মধ্যে মেজর জাহিদের স্ত্রী আছেন কিনা জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, ‘আমরা এখনও নিশ্চিত নই।’
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি