নিউজ ডেস্ক: ছোট থেকেই সোহাগীকে পরিবারের সন্তানের মতো লালন করেছেন মালিক মজনু ও তার স্ত্রী। অবশেষে তিন বছর লালন পালন করার পর গরুটি বিক্রির জন্য বাজারে তোলা হয়েছে। আর তাতেই নিত্য খবরের শিরোনাম হচ্ছে সোহাগী।
কালচে লাল রংয়ের সোহাগীকে গাবতলীর হাট থেকে নেয়া হয়েছে রাজধানীর মেরুল বাড্ডা-আফতাবনগর হাটে। গরুটি এখানে আনার পর থেকেই এ হাটের প্রধান আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। অনেকে না কিনলেও গরুটিকে এক নজর দেখার জন্যও বাজারে ঢু মেরে যাচ্ছেন। জেনে নিচ্ছেন দাম। অনেকে আবার গরুটির সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলতেও ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন।
আফতাব নগরের এ বাজারে গরুটির ১৩ লাখ পর্যন্ত দাম উঠেছে। কিন্তু বিক্রেতা ১৭ লাখের কমে সোহাগীকে হাতছাড়া করতে নারাজ বলেই জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে সেখানকার গরুর বেপারি মজনু প্রামাণিক, দুই বছর ধরে এর মালিক গরুটি লালন পালন করেছেন। গরুটির পেছনে তার কয়েক লাখ টাকা খরচ হয়েছে। পরিশ্রমও গেছে অনেক। ১৭ লাখ টাকার কমে গরুটি বিক্রি করলে তার কোনই লাভ হবে না।
প্রসঙ্গত, বগুড়ার মথুরাপুর গ্রামের মজনু পরামানিক ও তার স্ত্রী গরুটির মালিক। গরুটিকে খৈল, ভুসি ও ভাত খাইয়েই বড় করা হয়েছে। তাকে মোটাতাজা করতে কোনো ওষুধ খাওয়ানো হয়নি। স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ছয় মাস পরপর এসে কৃমির ওষুধ খাইয়ে যেতেন। সাড়ে তিন বছরে গরুটি কোনো রোগে আক্রান্ত হয়নি বলেও জানিয়েছেন এর মালিক।
১২ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর