নিউজ ডেস্ক: কোরবানির হাটে দেশি ও ভারতীয় গরুর পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও ঈদের আগের দিন সোমবার দুপুর পর্যন্ত দাম কমেনি। শেষ সময়ে বেশি দাম হাঁকানোর আশায় গরুর দাম ছাড়ছিলেন না ব্যবসায়ীরা। কিন্তু দুপুরের পরে হঠাৎ করে গরুর দাম পড়ে যায়। এ অবস্থায় বেশি লাভের আশায় যাঁরা এত দিন গরু বিক্রি করেননি, সেসব গৃহস্থ, খামারি ও ব্যবসায়ী এখন হা-হুতাশ করছেন। রাজধানীর বিভিন্ন হাট ঘুরে জানা যায়, এবার কোরবানির হাটে শুরুর দিকে সীমান্ত দিয়ে গরু আসা বন্ধ থাকায় দেশি গরুর চাহিদা বাড়ে। তবে দাম বেশি হওয়ায় অনেকেই অপেক্ষা করতে থাকেন পরবর্তীতে কেনার জন্য।
আরো জানা গেছে, গত তিন দিন ধরে সীমান্ত দিয়ে প্রচুর ভারতীয় গরু বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। রাজশাহী, চাঁপাইনবাগঞ্জসহ সীমান্তের জেলাগুলোর হাট ছেয়ে গেছে ভারতীয় গরুতে। ভারতীয় গরু ঢুকে গেছে রাজধানীর বিভিন্ন হাটেও। তবুও গরুর দাম ছাড়ছিলেন না ব্যবসায়ীরা। তারা অভিযোগ করে বলছিলেন, ঘাটে ঘাটে চাঁদা দিতে গিয়ে গরুর দাম বেশি রাখতে হচ্ছে। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা তাদের সিদ্ধান্তে অটল থেকে দাম কমাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। কিন্তু এ সিদ্ধান্তে গরু অবিক্রিত থাকার শঙ্কা দেখা দিলে দুপুরের পরে হঠাৎ গরুর দাম কমতে শুরু করে।
রাজধানীর বেশ কয়েকটি হাট ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে গরুর সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে। দেশি গরুর পাশাপাশি হাটগুলোতে বিপুলসংখ্যক ভারতীয় গরু উঠেছে। আজ সোমবার দুপুরের আগ পর্যন্ত যে গরুগুলো দেড় থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি করা হচ্ছিল, এখন সেগুলো ১ লাখ ২০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ দুপুরের পরে প্রায় ১০ শতাংশ দাম কমে গেছে।
রাজধানীর বারিধারার গরুর হাটে গরু নিয়ে আসা এক ব্যবসায়ী বলেন, এ বছর কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য ১৭টি গরু লালন-পালন করেছিলাম। সাতটি গরু ইতিমধ্যে স্থানীয় বিভিন্ন হাটে ভালো দামে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু আরো দামের আশায় দুই দিন আগে এই হাটে গরু নিয়ে এসে আরো চারটি গরু ভালো দামে বিক্রি করি। কিন্তু আজ দুপুরের পরে হঠাৎ দাম পড়ে যাওয়ায় লোকসান দিয়ে বাকি গরুগুলো বিক্রি করতে হবে।-কালের কণ্ঠ
১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস