সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৬:২৪:২২

গরু ফুলিয়ে বিক্রি, হাটে ধরা খেল সরঞ্জামসহ তিনজন!

গরু ফুলিয়ে বিক্রি, হাটে ধরা খেল সরঞ্জামসহ তিনজন!

ঢাকা : বেশি লাভের আশায় গরুর শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে স্টেরয়েড তরল প্রয়োগ করে ফুলিয়ে বিক্রি করার অপরাধে ধরা পড়েছে তিন গরু ব্যবসায়ী।

আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর আফতাব নগরে কোরবানির পশুর হাটে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে ধরা পড়েন তারা।

গরুর শরীরে স্টেরয়েড তরল প্রয়োগ করলে গরুগুলো ফুলে-ফেঁপে ওঠে।  দেখা যায় মোটা-তাজা।  শরীরে ঢোকা তরলের ক্ষতিকর প্রভাবে কয়েকটি গরু অসুস্থও হয়ে পড়ে।

ধরা পড়া তিন গরু ব্যবসায়ী হলেন কুষ্টিয়ার বেলাল হোসেন (৪৫), সিরাজগঞ্জের আমির হোসে (৩৫) ও নারায়ণগঞ্জের কামরুল ইসলাম (৩৬)।

র‍্যাব-১ ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে ইনজেকশনের সরঞ্জামসহ ধরা পড়ায় বেলাল হোসেনকে র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

অন্য দুজনের গরুতে স্টেরয়েড জাতীয় তরল প্রয়োগের প্রমাণ পাওয়া গেলেও ইনজেকশনের সরঞ্জাম পাওয়া যায়নি।  এ জন্য জরিমানা করা হয়নি তাদের।  

তবে বেলাল, আমির ও কামরুলের তিনটি গরু তাদের নিজ নিজ জেলায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, আফতাব নগর হাটের বড় গরুগুলোর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।  স্টেরয়েড দেয়া হলে ছোট গরুও ফুলে-ফেঁপে বেশ বড় দেখায়।

কুষ্টিয়ার বেলাল হোসেন আফতাব নগর হাটে পাঁচটি গরু এনেছিলেন।  ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের আগে তিনটি গরু বিক্রি করেন বেলাল।

তার সঙ্গে থাকা দুটি গরুর মধ্যে একটি অসুস্থ হয়ে মাটিতে বসে পড়ে।  পরীক্ষা করে দেখা যায়, গরুটির শরীরে স্টেরয়েড দেয়া হয়েছে।

এর দায় স্বীকার করে বেলাল হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালতকে জানান, তিনি কুষ্টিয়ার এক প্রাণী চিকিৎসকের পরামর্শে তিন গরুর শরীরে স্টেরয়েড দিয়েছিলেন।  কিন্তু এর ক্ষতিকর বিষয়টি জানতেন না বলে দাবি করেন গরু ব্যবসায়ী বেলাল।

ঢাকা জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এমদাদুল হক বলেন, স্টেরয়েডের প্রভাবে গরুর শরীরে পানি জমে যায় ও যকৃৎ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।  এসব প্রাণী খুব বেশিদিন বেঁচে থাকতে পারে না।
১২ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে