নিউজ ডেস্ক : হাবুল মিয়া, রিকশা চালান ঢাকায়। রিকশার প্যাডেল চেপেই চলে সংসার। বউ-বাচ্চা নিয়ে থাকেন ঢাকার কদমতলী থানার মেরাজনগরে।
ঈদে বউ-বাচ্চাকে পাঠিয়ে দিয়েছেন গ্রামে। কিন্তু তিনি রয়ে গেছেন ঢাকায়। ঈদের দিন আর তিনি রিকশা চালাবেন না। এ দিন কাটবেন গরু। হবেন একদিনের কসাই। কিছু বাড়তি টাকা আয় আর কোরবানির মাংসের জন্যই ঈদের আগে বাড়ি যাননি তিনি। এসব নিয়েই বউ-বাচ্চার জন্য বাড়ি যাবেন হাবুল মিয়া।
শুধু হাবুল মিয়াই নন, এমন অনেক রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুর বা সবজিবিক্রেতা আছেন, যারা একদিনের কসাইয়ের কাজ করবেন ঢাকায়।
ঢাকার বাইরে থাকা বিভিন্ন কসাইও ঢাকায় আসেন। ঢাকায় একদিনে কসাইয়ের কাজ করলে তুলনামূলক বেশি টাকা আয় করা যায়। ঢাকায় একদিনের কসাইয়ের চাহিদাও রয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এবার ঢাকায় সাড়ে পাঁচ লাখ থেকে ছয় লাখ পশু কোরবানি হতে পারে। কিন্তু সে তুলনায় কসাই কম। তাই ঈদের দিন এমন ‘মৌসুমি’ কসাইয়ের দেখা মেলে বেশি।
হাবুল মিয়া বলেন, ঈদের দিনড্যা দুইডা ট্যাহা বেশি কামামু। পাঁচ বছর ধইরা ঢাহায়। ঈদ আইলে গরু কাটি। ওস্তাদ কসাই আমাগো আগেভাগেই বইল্যা রাহে। আমরা বেচতি লোক আইন্যা দেই।
ঢাকায় যে পরিমাণে পশু কোরবানি হয়, সে পরিমাণ পেশাদার কসাই নেই। মূল কসাই ১৫ থেকে ২০টি গরু কাটার বুকিং দিয়ে রাখেন। সহযোগী হিসেবে হাবুলদের ৫০০ টাকা করে দিয়ে গরু কাটান মূল কসাই। এতে করে কোরবানির ঈদে কসাইয়ের চাহিদা মিটে যাচ্ছে।
১২ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম